ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
বিভিন্ন দাবিতে আগামী ৩ দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালত বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে জেলা আইনজীবী সমিতি। বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) থেকে এই কর্মসূচি শুরু করেছে আইনজীবীরা। চলবে আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। কর্মসূচির কারণে এজলাসে আইনজীবী না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন বিচার প্রার্থীরা।
এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা জজ সংকট উত্তরণের বদলে তিনি উস্কে দিয়েছেন। আইনজীবীদের আলোচনার মাধ্যমে তিন দফা দাবিতে ৫-৯ জানুয়ারি পর্যন্ত আমরা আদালত বর্জনের ঘোষণা দিয়েছি।
আইনজীবীদের দাবিগুলো হচ্ছে- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুক ও জেলা জজ কোর্টের প্রধান নাজির মমিনুল ইসলামকে অপসারণ করা। এসব দাবি ৯ জানুয়ারির মধ্যে না মেনে নিলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান আন্দোলনকারীরা।
আদালতের একাধিক সূত্র জানায়, মূলত একটি মামলা দায়েরকে কেন্দ্র করে আইনজীবী সমিতির নেতাসহ একাধিক আইনজীবীর সঙ্গে বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের বিতণ্ডা হয়। সেই জেরে ক্ষিপ্ত হন আইনজীবীরা। এ ঘটনায় গত ২৬ ডিসেম্বর সভা করে ১ জানুয়ারি থেকে সংশ্লিষ্ট আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতি। এরপর থেকেই মূলত এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতপাড়া। বুধবার (৪ জানুয়ারি) আইনজীবীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে কর্মবিরতিতে যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিচার বিভাগ কর্মচারী এসোসিয়েশন। পরে বিক্ষোভ মিছিল করে জেলা আইনজীবী সমিতি। মিছিলে জেলা আইনজীবী সমিতি জেলা জজের অপসারণ দাবি করেন। আইনজীবীদের বিক্ষোভ মিছিলের পরপরই আইনজীবী সহকারী সমিতি আদালতের বেঞ্চ সহকারী-পেশকারদের বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ এনে বিক্ষোভ করেন। তারা আইনজীবীদের দাবির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন।
এএআর/
Leave a reply