গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী পাঁচ প্রার্থীর তিনজনেই জামানত হারিয়েছেন। এরমধ্যে, দুইজন স্বতন্ত্র ও অপরজন বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী। এ নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট তারা না পাওয়ায় নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। তবে নির্বাচনে জয়ী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির গোলাম শহীদ রঞ্জু তাদের জামানতের টাকা ফেরত পাবেন।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেন এ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম। জামানত বাজেয়াপ্তকৃত প্রার্থীরা হলেন- বিকল্পধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র পদের সৈয়দ মো. মাহবুবুর রহমান ও নাহিদুজ্জামান নিশাদ।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম জানান, সংসদীয় এ আসনের উপনির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে মোট ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪ জন ভোটারের মধ্যে ৩৭ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। এতে প্রাপ্ত বৈধ ভোটের আট ভাগের কম ভোট পেয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী তিন প্রার্থী। ফলে, নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী তাদের জামানতের টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে। সে হিসেবে ওই তিন প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে জামানত দেওয়া টাকা ফেরত পাবেন না।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বেসরকারি ফলাফল ‘বার্তা প্রেরণ শিট’ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গাইবান্ধা-৫ আসনে মোট ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪ জন। এরমধ্যে ভোট প্রদান করেছেন ১ লাখ ২৯ হাজার ৬১২ ভোটার। এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মো. মাহবুবুর রহমান (ট্রাক) পেয়েছেন ২ হাজার ৯৫০ ভোট ও নাহিদুজ্জামান নিশাদ (আপেল) পেয়েছেন ১ হাজার ৬৪০ ভোট। এছাড়া, বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম (কুলা) পেয়েছেন ১ হাজার ৭৯৬ ভোট। নির্বাচনে সর্ব্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী মো. মাহমুদ হাসান রিপন। তিনি পেয়েছেন ৭৮ হাজার ২৭৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির গোলাম শহীদ রনজু (লাঙল) পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৯৫০ ভোট। এতে, ৩৩ হাজার ৩২৬ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন মাহমুদ হাসান রিপন।
এর আগে, বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইভিএমের মাধ্যমে ১৪৫টি কেন্দ্রে একটানা ভোটগ্রহণ হয়। কোনো ধরনের অনিয়মের অভিযোগ এবং কাঙ্খিত ভোটার উপস্থিতি ছাড়াই স্বাভাবিক পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৩ জুলাই সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে গাইবান্ধা-৫ আসনটি শূন্য হয়। এরপর গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনে ভোটগ্রহণ চলাকালে নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। অনিয়মের সঙ্গে ১১৫ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেয় ইসি।
/এসএইচ
Leave a reply