এখনই কোনো জোটে যুক্ত হচ্ছে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র সচিব

|

যুক্তরাষ্ট্র বা চীনের নতুন কোনো জোটে এখনই যুক্ত হচ্ছে না বাংলাদেশ- এমন দাবি করে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলছেন, শান্তিপূর্ণ ইন্দো-প্যাসিফিক গড়তে নিজস্ব পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে চায় ঢাকা। বাংলাদেশ নিয়ে বড় রাষ্ট্রগুলোর আগ্রহ বৃদ্ধিকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন সরকারের শীর্ষ এ কূটনীতিক। প্রভাবশালী মার্কিন কূটনীতিক ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফরে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক সব ইস্যুতেই আলাপ হবে বলেও জানান পররাষ্ট্র সচিব।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিশেষ উপদেষ্টা এইলিন লউবেখার যখন ঢাকায়, তখনই আফ্রিকা যাওয়ার পথে ঢাকায় যাত্রা বিরতি করে গেলেন চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রী কিন গ্যাং। বেশ কিছুদিন ধরেই নির্বাচন ও মানবাধিকার নিয়ে পশ্চিমা কূটনীতিকদের নানা তৎপরতায় অস্বস্তি আছে সরকারের। এমন অবস্থায়ই আগামী শনিবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকা আসছেন আলোচিত মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। ধারণা করা হচ্ছে, দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও কূটনীতির পাশাপাশি লু’র সফরে প্রাধান্য পাবে নির্বাচন এবং মানবাধিকার প্রসঙ্গ।

এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আমি এগুলোকে আমাদের নিয়মিত অ্যানগেজমেন্টের অংশ হিসেবে। শুধু যে নির্বাচন বা হিউম্যান রাইটস নিয়ে আলোচনা হবে তা না, বরং যতো ইস্যু আছে তার সবই আমরা আলোচনা করবো। তাদের কাছে আমাদের চাওয়ার কিছু ব্যাপার আছে, তাদেরও প্রত্যাশা আছে আমাদের কাছে। আমরা এসব ব্যাপারে খোলামেলা আলোচনা করবো।

একই সময়ে ঢাকায় অবস্থান করছেন চীনের ক্ষমতাসীন দল কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধিরা। এরইমধ্যে তারা বৈঠক সেরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদকের সাথে। গুঞ্জন হলো, ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি বা আইপিএসসহ এই অঞ্চল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন উদ্যোগে যুক্ত হতে চাপে আছে বাংলাদেশ। আর, কোনোভাবেই যেনো ঢাকা সেই ব্লকে যুক্ত না হয়- তা নিশ্চিতে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বেইজিং। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মতো বড় দুই পরাশক্তির এই চাপ কিভাবে দেখছে বাংলাদেশ?

এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ওরা আরও গভীরভাবে অ্যানগেজ করতে চাচ্ছে। আমরাও যদি আরও ভালোভাবে অ্যানগেজ হতে পারি তাহলে তো ভালই। ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিটা তাদের একটা স্ট্র্যাটেজি। আপনারা জানেন যে কানাডা একটা স্ট্র্যাটেজি দিয়েছে, ইইউ একটা স্ট্র্যাটেজি দিয়েছে এমনকি জাপানও। এভাবে সবাই সবার মতো স্ট্র্যাটেজি দিচ্ছে। আমরা কারো সাথে জয়েন করছি বা করছি না- ব্যাপারটা এমন না। আমরা বঙ্গোপসাগরকে বা বঙ্গোপসাগরের বাইরের অংশ কীভাবে দেখতে চাই তার কিছু অ্যালিমেন্টস আমরা তৈরি করছি।

সবার সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে শত্রুতা নয়- এ মূলনীতির আলোকেই কূটনীতির সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা হচ্ছে বলেও জানান মাসুদ বিন মোমেন।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply