এ যেনো রিজেন্টের প্রতারক সাহেদকেও হার মানায়। মন্ত্রী-এমপির সঙ্গে ছবি তুলে বা ভিআইপির সন্তান পরিচয় দিয়ে অনেককেই ফাঁদে ফেলা হতো। ফেসবুকে নারীদের মিথ্যা পরিচয় দিয়ে করতো প্রতারণা। এমন নানা অভিযোগে মাসুম বিল্লাহ ওরফে রাজু নামের এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।
তিনি খুলেছিলেন নামসর্বস্ব মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান। নিজেকে পরিচয় দিতেন প্রায় পঞ্চাশটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের এমডি কিংবা প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে। নানা সময়ে নানাজনের সাথে প্রতারণা করেছেন মাসুম বিল্লাহ ওরফে রাজু বা কখনও বিল্লাল ফারদিন নামে।
সম্প্রতি পরিচয় দিতেন সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশালের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে। তবে শেষ রক্ষা হলো না।
গোয়েন্দারা বলছে, ফেসবুকে প্রায় চার লাখ ফলোয়ার তার। মূলত মেয়েদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলতেন তিনি। কখনও আবার পরিচয় দিতেন আমেরিকার নাগরিক হিসেবে। তবে বেশিরভাগ সময় নিজেকে গাজীপুরের প্রয়াত এমপি রহমত আলীর ছেলে বলেই পরিচয় দিতেন তিনি।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, সে নানা ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করতো। সবচেয়ে বেশি করতো আমেরিকায় থাকে, গ্রীনকার্ডধারী। ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখাতো। এসব কার্ড সব নীলক্ষেতে থেকে বানিয়েছে। কার্ডগুলো বানিয়ে বিশেষ করে মেয়েদের ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায়।
মিথ্যা পরিচয় ব্যবহার করে অনেকের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতেন মাসুম বিল্লাহ। তাদের নিয়ে করতেন বিমান ভ্রমণও। গোয়ান্দারা বলছে, এভাবে পঞ্চাশের বেশি নারীর কাছ থেকে টাকা পয়সা আত্মসাৎ করেছেন তিনি।
পুলিশ জানায়, নিঃসন্তান এক মা ছোটবেলায় দত্তক নিয়েছিলেন মাসুম বিল্লাহকে। বিভিন্নজনের কাছে ধার-দেনা ও বাটপারির অভিযোগ উঠায় ১২ বছর বয়সে বাসা থেকে বিতাড়িত করা হয় তাকে।
গোয়েন্দারা বলছে, রাজুকে রিমান্ডে নিয়ে তার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা সেটি তদন্ত করা হবে। সেইসঙ্গে ভাচুর্য়াল জগতের পরিচয়ে প্রভাবিত না হয়ে সম্পর্ক স্থাপনে সবাইকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ ডিবি পুলিশের।
/এমএন
Leave a reply