বগুড়া ব্যুরো:
বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৪ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানান কাণ্ডে আলোচিত-সমালোচিত আলম, এটি পুরানো খবর। প্রতীকও বরাদ্দ পেয়ে গেছেন তিনি। এরপরই গণমাধ্যমে জানালেন, তার ওপর আঘাত এলে পাল্টা আঘাত করা হবে। সেজন্য কর্মীর সংখ্যা ও শক্তি বাড়িয়েছেন তিনি।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নির্বাচনের প্রতীক নিতে যান আলম। গতবারের মতো এবারও সিংহ প্রতীক প্রত্যাশা ছিল তার। কিন্তু সিংহ একটি রাজনৈতিক দলের নির্ধারিত প্রতীক হয়ে পড়ায় এবার প্রতীক পাল্টেছে আলমের। দুই আসনেই এবার তিনি লড়বেন একতারা প্রতীক নিয়ে।
প্রতীক হাতে পাওয়ার পর গণমাধ্যমকে তিনি জানান, গতবারের চেয়ে এবার তার কর্মীবাহিনীর পরিধি বেড়েছে। তাদের আগের চেয়ে শক্তিশালী করে বৃহস্পতিবার থেকে দুই আসনে প্রচারে নামবেন তিনি। এবার প্রতিপক্ষের কেউ হামলা বা আঘাত করতে এলে তাদেরকে পাল্টা আঘাত করা হবে বলেও জানান আলম।
এর আগে যাচাই-বাছাইয়ের সময় বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনে বাতিল হয় হিরো আলমের মনোনয়নপত্র। প্রার্থীতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেও ব্যর্থ হন তিনি। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার আদালতের নির্দেশে প্রার্থীতা ফিরে পান আলম।
বগুড়া সদর উপজেলার এরুলিয়া এলাকার বাসিন্দা আশরাফুল হোসেন আলম ডিশ সংযোগের ব্যবসা করতেন একসময়। এলাকায় ‘ডিশ আলম’ নামে পরিচিত এই তরুণ মিউজিক ভিডিও’র মাধ্যমে বছর কয়েক আগে অভিনেতা বনে যান এবং নিজের নাম দেন ‘হিরো আলম’। দুয়েকটি চলচ্চিত্র আর বিভিন্ন ভাষায় মিউজিক ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনায় থাকা আলম ২০১৮ সালে প্রথমবার সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে হইচই ফেলে দেন। ওই নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে সিংহ প্রতীক নিয়ে ৬৩৮ ভোট পেয়েছিলেন হিরো আলম। এবার অবশ্য দুই আসনেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।
এটিএম/
Leave a reply