নিউজিল্যান্ডের আলোচিত ও বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত প্রধানমন্ত্রী হলেন জেসিন্ডা আরডার্ন। সম্প্রতি তার পদত্যাগের ঘোষণা জন্ম দিয়েছে অনেক প্রশ্নের। জেসিন্ডা নিজেও পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কোনো কারণ স্পষ্ট করেননি। তবে এসব প্রশ্নের উর্ধ্বে গিয়ে এখন শান্তিতে ঘুমাতে পারছেন তিনি, অন্তত সাংবাদিকদের এমনটিই জানিয়েছেন জেসিন্ডা। খবর বিজনেস ইনসাইডারের।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের এক সাংবদিকের কাছে এমনই মন্তব্য করেন জেসিন্ডা আরডার্ন। তিনি বলেন, স্বীকার করতেই হবে দীর্ঘদিন পর গত রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পেরেছি। দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়ে নিশ্চিতভাবে খারাপ লাগছে। কিন্তু তারপরও অনেকখানি স্বস্তি কাজ করছে। সবার কাছ থেকে যেভাবে কৃতজ্ঞতার বার্তা পেয়েছি, তাতে আমি সত্যিই মুগ্ধ।
এর আগে, বৃহস্পতিবার নিজের পদত্যাগের ঘোষণা দেন জেসিন্ডা আরডার্ন। জানান, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি শেষ কর্মদিবস হবে তার।
শান্তির দেশ হওয়া সত্ত্বেও নিউজিল্যান্ড অন্যান্য উন্নত দেশগুলোর তুলনায় বিশ্ব রাজনীতিতে আলোচনায় কম আসে। কম অপরাধ প্রবণতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীল এ দেশটিতে প্রায় নির্ঝঞ্ঝাটে মেয়াদ পার করে দেয় একের পর এক সরকার। তবে সেই তুলনায় ২০১৭ সালে ক্ষমতায় বসার পর থেকে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়েছে জেসিন্ডা আরডার্নকে। ক্রাইস্টচার্চে হামলা এবং করোনার মতো বৃহৎ দুটি সংকটকে দক্ষ ও সফলভাবে সামলেছেন এই নেত্রী। তবে সবকিছু প্রায় গুছিয়ে এনে আচমকাই তার পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তে রীতিমতো হতবাক বিশ্ব। অবশ্য তার প্রতি শুভকামনা জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের জনগণ।
এসজেড/
Leave a reply