পাবনা প্রতিনিধি
পাবনা সদর উপজেলায় নিজ ঘর থেকে মা ও তার দুই বছরের শিশু সন্তানের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।শনিবার বিকেল সাড়ে ৬টার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন- উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের দুই নাম্বার ওয়ার্ডের বোরোগীপাড়া গ্রামের সুজন আলীর স্ত্রী রুশী খাতুন (২৫) ও শিশু সন্তান রোহান (২)। তবে তাদের মৃত্যু নিয়ে দেখা দিয়েছে রহস্য।
পাবনা সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ইবনে মিজান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার সময় শিশু সন্তানকে নিয়ে মা রুশী খাতুন তাদের ঘরেই ছিলেন। এ সময় তার স্বামী সুজন আলী বাড়িতে ছিলেন না। দীর্ঘ সময় ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় স্বজন ও প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। পরে ঘরের দরজা খুলে মা-ছেলের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয় তারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জব্দ করা হয় একটি ধারালো চাকু।
এলাকাবাসী জানান, ঘরের মেঝেতে মায়ের ও চৌকির উপর শিশু সন্তানের মরদেহ পড়েছিল। মায়ের পায়ের কাছে রক্তামাখা চাকু ছিল। সুজন আলীর স্ত্রী রুশী খাতুনের মানসিক সমস্যা ছিল, তিনি কবিরাজি চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তবে কারা, কি কারণে তাদের হত্যা করেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পাবনা সদর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার ইবনে মিজান জানান, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড নাকি আত্মহত্যা সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মানসিক সমস্যার কারণে শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর মা নিজেই গলা কেটে আত্মহত্যা করেছে, নাকি তাদের কেউ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে এ নিয়ে এলাকাবাসী ও স্বজনদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজাল।
যমুনা অনলাইন: এসআর/টিএফ
Leave a reply