রাজশাহী ব্যুরো:
আদালত চত্বরে শিশুর কান্নায় নতুন করে সংসারে ফিরেছেন এক দম্পতি। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট- ২ আদালতে ঘটনাটি ঘটে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, যৌতুকের একটি মামলার জামিন শুনানিকালে ছোট্ট শিশুর কান্নার আওয়াজ দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিচারক মির্জা মাসুদের। বাদীর কাঠগড়ায় মায়ের কোলে কাঁদছে ৬ মাসের ফুটফুটে এক শিশু। অন্যদিকে, আসামির কাঠগড়ায় ২৩ বছরের এক তরুণ। বাদী ও আসামির আইনজীবীদের বক্তব্য চলতে থাকলেও আদালতের দৃষ্টি ছিল অসহায় শিশুটির দিকে।
শুনানির একপর্যায়ে বিচারক জানতে চান, শিশুটির ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে বাদী ও আসামি এক হতে চায় কিনা? বাদী-আসামি পরস্পরের কিছু দোষ ত্রুটি উল্লেখ করেন। আদালত বিষয়গুলো শোনার পর বর্তমান সমাজের প্রেক্ষাপটে কিছু উপদেশমূলক বক্তব্য প্রদান করেন। পরে বাদী ও আসামি উভয়ে আদালতকে জানায় তারা আবারও সংসারে ফিরতে চায়।
তাদের সংসারে ফেরার খবরে সে সময় আদালত প্রাঙ্গণে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়। পরে হাজির হন দুই পক্ষের অভিভাবকরা। আদালত কক্ষেই এক লাখ টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ে শেষে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এ সময় বিবাহিত দম্পতিকে স্বাগতম জানান অনেকে।
প্রসঙ্গত, গত ৮ মাস আগে রাজশাহী মহানগরীর কাটাখালি থানার সমসাদিপুর গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে শিমুল ও স্বপন আলীর মেয়ে জান্নাত ফেরদৌস মিতুর বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের জেরে তাদের তালাক কার্যকর হয়। কিন্তু ছোট্ট শিশুর কান্না তাদের আবারও এক ছাদের নিচে থাকার সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করলো।
এএআর/
Leave a reply