বিপিএলের চলতি আসরে বাবর আজম বা শাহিন আফ্রিদিরা আসেননি। এরপরও যারা খেলছেন, তাদের নিয়ে অনায়াসেই পাকিস্তানের একটা একাদশ গঠন করা সম্ভব। ভিন্ন কন্ডিশনে এসেও দাপট দেখাচ্ছেন দেশটির ক্রিকেটাররা। ক্রিকেট বিশ্লেষকরা বলছেন, দ্রুত মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতা আর স্মার্ট ক্রিকেট পাকিস্তানিদের আলাদা করে।
অবশ্য বিপিএলে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের দাপট হুট করেই হয়নি। এবারের বিপিএলে যখন বিদেশি তারকা ক্রিকেটারের অভাব, তখন এই নাসিম শাহ-রিজওয়ানরা আলো কেড়েছেন। আর নিয়েই অনায়সে গড়া যায় একাদশ।
এই একাদশের ওপেনিংয়ে মোহাম্মদ রিজওয়ানের সাথে আসতে পারেন চট্টগ্রামের সেঞ্চুরিয়ান উসমান খান। এরপর আরেক সেঞ্চুরিয়ান খুলনার হয়ে খেলা আজম খান। সাথে গ্লাভস হাতেও থাকবেন তিনি। বরিশালের ইফতিখার আহমেদ থাকবেন মিডল অর্ডারে। বুড়ো হাড়ের ভেল্কি দেখানো শোয়েব মালিক হতে পারেন এই একাদশের অধিনায়ক।
লেট মিডল অর্ডারে থাকতে পারেন খুশদিল শাহ, ইমাদ ওয়াসিম ও মোহাম্মাদ নেওয়াজ। শেষ দুইজন আবার সামলাবেন স্পিন ডিপার্টমেন্ট। তিন পেসার নিয়ে কাঁপন ধরানোর মতো আক্রমণ আছে এই একাদশের। নাম তিনটি মোহাম্মাদ আমির, হারিস রউফ ও নাসিম শাহ। ১৩ উইকেট নিয়ে সেরা উইকেট শিকারির তালিকায় উপরে থাকা ওয়াহাব রিয়াজের জায়গা দ্বাদশ ক্রিকেটার হিসেবে।
ক্রীড়া সাংবাদিক মাজহার উদ্দীন অমি বলেন, পাকিস্তানিরা জন্ম থেকেই স্মার্ট। তাদের খেলার জ্ঞান অন্য রকমের। যারা বিপিএলে এসেছে তারা জাতীয় দলে ঢোকার মতো অবস্থায় আছে এবং কয়েকজন আছে যারা জাতীয় দলে খেলে এসেছে।
বর্তমান সময়ে শুধু স্কিল না, খেলতে হয় মাথা দিয়ে। স্মার্ট ক্রিকেটের সেই জায়গাতেই যে পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা।
বিপিএলে পাকিস্তানের সেরা একাদশ
১। মোহাম্মদ রিজওয়ান (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স)
২। উসমান খান ( চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স)
৩। আজম খান (খুলনা টাইগার্স) (উইকেটরক্ষক)
৪। ইফতিখার আহমেদ (ফরচুন বরিশাল)
৫। শোয়েব মালিক (রংপুর রাইডার্স) (অধিনায়ক)
৬। খুশদিল শাহ (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স)
৭। ইমাদ ওয়াসিম (সিলেট স্ট্রাইকার্স)
৮। মোহাম্মাদ নেওয়াজ (রংপুর রাইডার্স)
৯। মোহাম্মাদ আমির (সিলেট স্ট্রাইকার্স)
১০। হারিস রউফ (রংপুর রাইডার্স)
১১। নাসিম শাহ (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স)
১২। ওয়াহাব রিয়াজ (খুলনা টাইগার্স) (দ্বাদশ)
/এমএন
Leave a reply