২৮টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবে, এ ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুহার ৮০ শতাংশ। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে এখন পর্যন্ত সারাদেশে আক্রান্ত হওয়া ১২ জনের মধ্যে ১০ জনই মৃত্যুবরণ করেছে। অথচ এ বিষয়ে প্রচারের উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ নেই প্রশাসনের। তাই ঝুঁকিতে থাকা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে খেজুরের কাঁচা রস খাওয়া থেকে বিরত করা যাচ্ছে না। এই ভাইরাস সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণাও নেই তাদের।
গত ৩০ জানুয়ারি রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার করমদোশী গ্রামের শিশু সিয়াম হোসেন। পরীক্ষার পর জানা যায়, সিয়ামের মৃত্যু হয়েছে নিপাহ ভাইরাসে। এ ঘটনার পর আইইডিসিআরের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল বাগাতিপাড়ায় খেজুরের রস খাওয়া ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করে। কিন্তু নিপাহ ভাইরাসের ঝুঁকিতে থাকা এই জনপদে থেমে নেই কাঁচা রস খাওয়ার প্রবণতা। মহাসড়কের পাশে ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে নির্বিঘ্নে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা রস।
এ নিয়ে নাটোরের সিভিল সার্জন ড. রোজী আরা খাতুন জানান, ২৮টি জেলায় নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে। তাই জনসচেতনতা তৈরিতে প্রচারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। বলেন, কাঁচা রস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে মসজিদে মাইকিং করার পাশাপাশি বিভিন্ন ক্লিনিকে হেল্থ এডুকেশন দেয়া হচ্ছে।
তবে এ প্রচারণা যথেষ্ট নয় বলে মনে করছে বিশিষ্টজনেরা। তারা বলছেন, এই ভাইরাসে আক্রান্তদের মৃত্যুহার আশঙ্কাজনক। তাই এই বার্তা জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দিতে সচেতনতামূলক উদ্যোগ আরও জোরদার করা দরকার।
এসজেড/
Leave a reply