আগের মেয়াদে ইউপি সদস্যদের ৩৫ মাসের বেতন পুরেছিলেন নিজের পকেটে। আর, চলতি মেয়াদে আলোচনায় সরকারি চাল আত্মসাৎ, পুকুর দখল ও নারী ইউপি সদস্যদের পেটানোর মতো ঘটনা। একের পর এক এমন নানা কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার দেলুয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে একটি অভিযোগ তদন্তের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার দেলুয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি জিআর-এর চাল আত্মসাৎ, কৃষকদের পুকুর দখলসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সর্বশেষ সে তালিকায় যুক্ত হয়েছে নারী ইউপি সদস্যদের ওপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ।
এর আগে, এ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জিআর-এর চাল আত্মসাতের একটি লিখিত অভিযোগ সরকারের উচ্চ পর্যায়ে পাঠিয়েছেন ইউপি সদস্যরা। সেটির সুরাহার আগেই সহকর্মীদের ওপর হামলায় ক্ষুব্ধ তারা। দুই নারী ইউপি সদস্যকে নির্যাতনের অভিযোগ পেয়ে তা তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে মানবাধিকার কমিশন।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা ইউপি ভবনেই সংশ্লিষ্টদের সাক্ষাৎকার নেন। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি মানবাধিকার কমিশনের শুনানিতে রিপোর্টটি পাঠানো হবে।
রাজশাহী স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক শাহানা আখতার জাহান এ প্রসঙ্গে বলেন, শুনলাম যে বাইরের কিছু লোকের সাথে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। এ ব্যাপারেই তারা অভিযোগ করেছেন। তাদের এ অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এই তদন্ত। আমি তাদের কথা শুনে গেলাম। এ ব্যাপারে মানবাধিকার কমিশনে রিপোর্ট দিতে হবে আমাকে।
নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান দাবি করেন, এগুলো সবই ভুল বোঝাবুঝি থেকে হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তার প্রথম মেয়াদে ১২ জন ইউপি সদস্যের ৩৫ মাসের বেতন ১৮ লাখ ৪৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছিল। ফলে ২০২১ সালের ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ভোটে জেতেন তিনি।
/এসএইচ
Leave a reply