এবারের বইমেলায় কেমন যাচ্ছে নারী প্রকাশকদের দিনকাল?

|

নারী হিসেবে কর্মক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ সর্বত্রই। এবারের বইমেলায় নারী প্রকাশকরা কতখানি সেই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন? বইমেলায় এবার ৮৯২টি স্টল ও ৩৮টি প্যাভিলিয়নে অংশ নিচ্ছে ৬০৯টি প্রকাশনা সংস্থা। এত প্রকাশনীর মাঝে নারী প্রকাশকদের সংখ্যা কম নয়। মেলার আগ থেকেই যে বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু হয়, তা চলে পুরো ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে। আর তাতে নানান রকম চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে অংশ নেন নারীরাও।

নারী হিসেবে মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জ নিয়ে কথা বলেছেন আনন্দম প্রকাশনা সংস্থার প্রকাশক শ্রাবণী মজুমদার। তিনি বলেন, বাঁধাই খানায় যারা কাজ করেন তাদের কাজ একটু ব্যতিক্রমী। কাগজ বিক্রেতাদের সাথেও কথা বলেছি। তবে তাদের এ কাজগুলোতে খারাপ লাগার চেয়ে ভালো লাগাই বেশি কাজ করে।

মেলার সময় স্টল পাওয়া নিয়েও নানা প্রতিবন্ধকতার অভিযোগ করেছেন অনেকে। বাংলা একাডেমির স্টল লটারির মাধ্যমে বরাদ্দ হলেও, ভালো পজিশন না পাওয়া নিয়েও অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ।

একটি মাত্র স্টল দেয়ার কারণে বই বিক্রির ক্ষেত্রে সমস্যার কথা জানিয়েছেন ব্রাদার্স পাবলিকেশনের প্রকাশক সাদিয়া ইসলাম। অন্যদিকে পেণ্ডুলাম প্রকাশনী সংস্থার প্রকাশক রুম্মান তার্শফিক বলেন, আমাকে যে স্থানে স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, সেখানে গর্ত ছিল। সেটি মেরামত করতে আরও ৮ হাজার টাকা চাওয়া হয়। তবে আমাদের মতো ছোট প্রকাশনীর জন্য ৩২ হাজার টাকা বাংলা একাডেমিকে দেয়ার পর ফের ৮ হাজার টাকা দেয়া কঠিন।

নারী প্রকাশকের নাম শুনলেই সাধারণ পাঠকের প্রতিক্রিয়ার কথাও জানা গেলো। সব্যসাচীর প্রকাশক সানজানা মেহরান জানান, আমি যখন একটা ক্লাসিক বই বের করি এবং যখন কেউ শোনে, যে বইটা দিদির স্টলে পাওয়া যাবে, তারা অবাক হয়। তাদের প্রশ্ন থাকে, দিদি কি প্রকাশক? তাদের এই প্রশ্ন কোনো পুরুষের ক্ষেত্রে থাকে না।

তবে প্রত্যেক নারী প্রকাশকেরই ইচ্ছা, বর্তমানে তারা এক বা দুই ইউনিটের স্টল চালালেও ভবিষ্যতে একদিন তারা বইমেলায় প্যাভিলিয়ন নিয়েই বসবেন। সেই আশাকে সামনে রেখে আপন গতিতে ছুটে চলেছেন নারী প্রকাশকরা।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply