শিক্ষার্থীদের শারীরিক কসরত নিশ্চিত করতে এবার ক্লাসরুমেই যুক্ত হলো শরীরচর্চার আয়োজন। শ্রেণিকক্ষের বেঞ্চে বসেই, সাইক্লিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে মেক্সিকোর একটি স্কুলে। যাতে ক্লাসরুমেই ঘাম ঝরাতে পারবে শিশু-কিশোররা। কর্তৃপক্ষের দাবি, মুটিয়ে যাওয়া শিশুদের মেদ কমাতে সহায়তার পাশাপাশি মনোযোগ বাড়াবে এ ডেস্ক বাইক।
এ সাইকেলের প্যাডেল ঘোরাতে ঘোরাতেই ক্লাস করে শিক্ষার্থীরা। লেকচার শুনতে শুনতেই সেরে নিতে পারে ব্যায়াম। ভিন্ন ধাঁচের এই শ্রেণিকক্ষের নাম দেয়া হয়েছে ‘হেলদি ক্লাসরুম’ ।
প্রযুক্তি নিয়ে ব্যস্ততায়, শিশু-কিশোরদের মাঝে বাড়ছে শারীরিক পরিশ্রমের প্রতি অনীহা। অল্প বয়সেই শরীরে জমছে মেদ; বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন প্রজন্মের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতেই এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। তাদের দাবি, শারীরিক কসরতে চাঙ্গা হয়ে উঠবে শিশুদের মন। যা ক্লাসের প্রতি আনবে বাড়তি মনোযোগ।
গিয়েরমো সেকেন্ডারি স্কুলের প্রিন্সিপাল সানজুয়ানিতা গারসিয়া ম্যারোকিন বলেন, মহামারীর পর থেকেই খেয়াল করছি, ক্লাসে ছাত্র-ছাত্রীদের মনোযোগে ঘাটতি। খেলাধুলাতেও আগ্রহ প্রায় হারিয়েই ফেলেছে। এর অন্যতম কারণ স্থূলতা। তাই পুরো স্কুলকেই বাইক ডেস্ক দিয়ে সাজানোর পরিকল্পনা নেই।
ভিন্নধর্মী এই উদ্যোগে সন্তানের স্বাস্থ্য নিয়ে কিছুটা স্বস্তিতে অভিভাবকরা। নতুন ধরণের ডেস্ক পেয়ে খুশি শিক্ষার্থীরাও। এক শিক্ষার্থী বলেন, এটা সত্যিই দারুণ। খুব ভালো লেগেছে আমার। অনেকক্ষণ ক্লাস করার পরও বেশ সতেজ লাগছে।
এ ধরনের বাইক ডেস্ক ব্যবহার প্রথম শুরু হয় কানাডায়। সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হলেও বেশ ব্যয়বহুল হওয়ায় বাস্তবায়ন ছিল কষ্টসাধ্য। সমাধানে এগিয়ে আসে দেশি একটি বাইক নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।
উদ্যোক্তা মিগুয়েল অরটিজ বলেন, কানাডার তুলনায় প্রায় পাঁচ গুণ কম দামে আমরা ডেস্কগুলো তৈরি করেছি। দেশের শিক্ষার্থীরাও যাতে কানাডার স্কুলগুলোর মতো সুবিধা পায়, সেটাই ছিল উদ্দেশ্য।
প্রাথমিকভাবে এ স্কুলের দুটি ক্লাসরুম সাজানো হয়েছে বাইক ডেস্ক দিয়ে। ভালো ফল পেলে পর্যায়ক্রমে দেয়া হবে অন্যান্য ক্লাসেও।
এএআর/
Leave a reply