মামুনুর রশিদ:
১ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে বাফুফের কাছে জেমি ডের বকেয়া বেতনের অংক। এই পরিমাণ অর্থ জেমি ডে’কে বুঝিয়ে না দেয়া পর্যন্ত ৫ শতাংশ হারে প্রতি মাসে বাড়তেই থাকবে। ডলার মন্দার এই সময়ে জেমির পাওনা ৯৪ হাজার ডলার ছাড়িয়েছে। গত বছর ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে তার পাওনা পরিশোধের ডেডলাইন নির্ধারণ করে দেয় ফিফা, তখন জরিমানার অংক ছিল ৮৬ হাজার ডলার।
উন্নয়নশীল ফুটবল ফেডারেশনগুলোর জন্য ফিফার ডেভেলপমেন্ট খাতের টাকা একরকম আশীর্বাদস্বরুপ। সেই আশীবার্দে অবকাঠামো আর তৃণমূলের ফুটবল উন্নয়নে বছরে প্রায় ২০ কোটি টাকা পেয়ে থাকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। কিন্তু এবার সেটি বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যার অন্যতম কারণ সাবেক হয়ে যাওয়া কোচ জেমি ডে’র অর্থ পরিশোধ করতে না পারা। জেমি ডে বাংলাদেশের ফুটবলকে ছেড়ে গেছেন কিন্তু পারিশ্রমিক ইস্যুতে বাংলাদেশের ফুটবলে তিনি এখনও বেশ আলোচিত নাম।
মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই এই কোচকে ছাঁটাই করে বিপদে পড়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। চুক্তি পর্যন্ত অর্থ পরিশোধ করার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও সেটি রাখতে পারেনি বাফুফে। এতে ফিফার দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই ব্রিটিশ কোচ। সেখান থেকে বাফুফের উপর নেমে আসে বড় অংকের জরিমানার খড়গ। ৮৬ হাজার ইউএস ডলার বেতন ও জরিমানা প্রদান করার কথা ছিল গত বছরের ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে। কিন্তু সেটি করতে ব্যর্থ হয়েছে বাফুফে। সে কারণে, টাকার অংক সুদসহ ছাড়িয়েছে কোটির ঘর।
বিপদের আরও কারণ হচ্ছে, এই টাকা ৫ শতাংশ লাফিয়ে বাড়তেই থাকবে প্রতি মাসে, যতক্ষণ না প্রাপ্য অর্থ বুঝে পাচ্ছেন জেমি ডে। ডলার সংকটের সময় ৯৪ হাজার ইউএস ডলারের জরিমানা বাংলাদেশের জন্য নিশ্চিতভাবেই সুখকর কোনো বার্তা নয়।
/এম ই
Leave a reply