পারমাণবিক স্কোয়াডকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ পুতিনের

|

ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ছবি।

যুক্তরাষ্ট্রের সাথে হওয়া পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাবার পর এবার নিজের পারমাণবিক অস্ত্রের ইউনিটকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এ ঘোষণা দেন পুতিন। সুপারসনিক কিনঝাল ক্ষেপণাস্ত্র থেকে শুরু করে সবধরনের পারমাণবিক অস্ত্রের স্কোয়াডকে আরও শক্তিশালী করার ঘোষণাও দেন তিনি। এ অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের আশঙ্কা, আন্তঃমহাদেশী ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিকল্পনা করতে পারেন পুতিন। খবর রয়টার্সের।

সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে রাশিয়ার কৌশলগত পারমাণবিক চুক্তি নিউ স্টার্ট স্থগিতে পুতিনের ঘোষণার পর থেকেই নানা বিষয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। চুক্তি বাতিলের ফলে পরমাণবিক হামলার ঝুঁকি আরও বেড়েছে, বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের। সেই আশঙ্কার মধ্যেই এবার পরমাণু অস্ত্র সংশ্লিষ্ট স্কোয়াডগুলোকে অভিযানের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, নব্য নাৎসীবাদকে ঠেকানোর জন্য আমরা প্রস্তুত। এরইমধ্যে পারমাণবিক বিভিন্ন অস্ত্রের ইউনিটগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছি। যেকোনো সময় হামলার জন্য তাদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিশেষ করে কিনঝাল মিসাইল সিস্টেমকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি সবগুলো প্রচলিত অস্ত্র; যেমন- দূরপাল্লার কামান, ড্রোন, ট্যাংক এবং ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন বাড়ানো হচ্ছে।

এদিকে, পুতিনের এমন সিদ্ধান্তকে ‘চরম ভুল’ বলে আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পোল্যান্ডে ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাইডেন এ আশঙ্কার কথা জানান। তিনি বলেন, আন্তঃমহাদেশীয় পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের পরিকল্পনা থাকতে পারে রুশ প্রেসিডেন্টের।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, এ ধরনের চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার অর্থই হলো পরমাণু যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়ানো। কোনো সন্দেহ নেই যে এ চুক্তি থেকে বেরিয়ে বড় ভুল করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। যে বক্তব্য তিনি দিয়েছেন; হতে পারে আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের পরিকল্পনা করছেন পুতিন।

এ অব্স্থায় রুশ-ইউক্রেন ইস্যুতে উত্তাপ ছড়িয়েছে জাতিসংঘেও। বিশেষ অধিবেশনে যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব দেয়ায় পক্ষে-বিপক্ষে চলে তুমুল কথার লড়াই। এ সময়, রুশ আগ্রাসনকে বিশ্ব বিবেকের জন্য অপমান বলে আখ্যা দেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস বলেন, এ যুদ্ধ আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতাকে উস্কে দিচ্ছে। বিশ্বব্যপী উত্তেজনা ও বিভক্তিতে ইন্ধন দিচ্ছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো- এ যুদ্ধ পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের জন্য পরোক্ষ হুমকি হয়ে উঠেছে।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় নিউ স্টার্ট চুক্তি। এ চুক্তির মাধ্যমে, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া কী পরিমাণ পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করতে পারবে, তার সংখ্যা নির্দিষ্ট করার নির্দেশনা ছিলো।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply