প্যারাগ্লাইডিং করে প্রথমবার কে-টু পর্বত জয়! অভিজ্ঞতা জানালেন দুই প্যারাগ্লাইডার

|

হোরাসিও লরেন্স ও টম ডি ডোরলোডট— জনপ্রিয় দুই প্যারাগ্লাইডার। তাদের সাহসের কাছে দুঃসাহসিক, অদম্য, নির্ভীক— সব বিশেষণই যেন ম্লান। গেলো বছর প্যারাগ্লাইডিং করে প্রথমবারের মতো বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ‘কে টু’তে পৌঁছে বিস্ময় ছড়িয়েছেন এ দুই প্যারাগ্লাইডার।

সম্প্রতি ‘ফ্লায়িং বিটুইন জায়ান্টস’ নামের এক প্রামাণ্যচিত্রে ২৪ হাজার আটশ ফুট উচ্চতায় প্যারাগ্লাইডিংয়ের সে অভিজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন হোরাসিও লরেন্স ও টম ডি। খবর রয়টার্সের।
টম ডি ডোরলোডট বলেন, এই ট্রিপটা আমার কাছে আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রথম কেউ কে-টু পর্বত চূড়ার কাছে প্যারাগ্লাইডিং করলো। অভাবনীয় এক অভিজ্ঞতা।

প্যারাগ্লাইডিংয়ে তাদের অভিজ্ঞতার ঝুলি পূর্ণ। তারপরও কে-টু জয়ের যাত্রা সহজ ছিল না তাদের জন্য। বৈরী আবহাওয়া ও পর্বতমালার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থান— সব মিলিয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছে হোরাসিও ও টমকে। কারাকোরাম পর্বত থেকে কয়েক দফা চেষ্টা চালিয়ে বিফলও হন তারা।

হোরাসিও লরেন্স বলেন, এই ট্রিপের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল অতিরিক্ত ঠান্ডা আবহাওয়া। উপরে অনেক সময় মাইনাস ত্রিশ ডিগ্রিতেও নেমে যেত তাপমাত্রা। এমন পরিস্থিতিতে প্যারাগ্লাইডিং করা আসলেই কষ্টসাধ্য ছিল। এছাড়া পর্বতের চূড়ার হিমবাহের কারণে ল্যান্ডিং করাও সম্ভব ছিল না। উড়ে বেড়ানোটাই ছিল সবচেয়ে নিরাপদ।

প্যারাগ্লাইডিং করে ২৪ হাজার আটশ ফুট উচ্চতায় উড়েছেন তারা। তবে প্রথমবারের মতো কে-টু জয়ের রেকর্ড গড়লেও নেই সর্বোচ্চ উচ্চতায় প্যারাগ্লাইডিংয়ের রেকর্ড।

সর্বোচ্চ উচ্চতায় প্যারাগ্লাইডিং করার রেকর্ডটি ফরাসি নাগরিক অ্যান্তোনিও জিরার্ডের। সাড়ে সাতাশ হাজার ফুট উচ্চতায় প্যারাগ্লাইডিংয়ের রেকর্ড রয়েছে তার।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply