টিকটকে নিষেধাজ্ঞা: গুপ্তচরবৃত্তির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ চান মার্কিন নীতি নির্ধারকরা

|

ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ছবি।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সব ডিভাইসে টিকটক ডাউনলোড ও ব্যবহার নিষিদ্ধের ঘটনায় চলছে তোলপাড়। মার্কিন প্রশাসনের দাবি, এসব অ্যাপের কারণে ফাঁস হয়ে যেতে পারে পরমাণু কেন্দ্র কিংবা সরকারি নীতির মতো গোপনীয় সব তথ্য। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে-এমন দাবিও করেন মার্কিন নীতি নির্ধারকদের কেউ কেউ। বিশ্লেষকরা বলছেন, মূলত বাজার নিয়ন্ত্রণকে লক্ষ্য করে হাতিয়ে নেয়া হয় তথ্য; তবে সংবেদনশীল তথ্য ফাঁসের আশঙ্কাও রয়েছে।

সম্প্রতি সরকারি সব ডিভাইসে টিকটক ডাউনলোড ও ব্যবহার নিষিদ্ধের নির্দেশনা দেয় মার্কিন সরকার। এসব অ্যাপের ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সরবরাহ করা হয় চীন সরকারের কাছে, এমন অভিযোগে নেয়া হয় এই সিদ্ধান্ত। এরআগে সরকারি ডিভাইসে টিকটক ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত দেশগুলো আর কানাডাতেও। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিদের দাবি, গুপ্তচরবৃত্তির কারণে ব্যবস্থা নেয়া উচিত বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা ম্যাথিও পটিংগার বলেন, টিকটক কিংবা উইচ্যাটের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষের তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে চীন। তারা আমাদের নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করে তা আমাদের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করছে। শুধু তাই নয়, এসব প্ল্যাটফর্মে এমন সব তথ্য প্রচার করা হচ্ছে যা পশ্চিমা সংস্কৃতি এবং সামাজিক কাঠামো বদলে দিচ্ছে। দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

বিশ্লেষকরদের দাবি, পণ্যের বাজারকে লক্ষ্য করেই সংগ্রহ করা হয় ব্যবহারকারীদের তথ্য।

জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির নির্বাহী পরিচালক অ্যান্টন ডেবোরা এ প্রসঙ্গে বলেন, পণ্য ও পণ্যের বাজার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে এসব প্ল্যাটফর্ম। বাণিজ্যিক বিভিন্ন খাতের সাথে জড়িত বাজার ব্যবস্থাপনার তথ্য ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। যেহেতু চীন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ; তাই বাজার সংশ্লিষ্ঠ এসব তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা খুবই জরুরি।

তবে বিশ্লেষকদের সবচেয়ে বড় আশঙ্কা, এসব অ্যাপের কারণে ফাঁস হয়ে যেতে পারে পরমাণু কেন্দ্রের মতো সংবেদনশীল স্থাপনার তথ্যও।

জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির নির্বাহী পরিচালক অ্যান্টন ডেবোরা আরও বলেন, কয়েক বছর আগেও এসব প্ল্যাটফর্ম থেকে ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহের হার এতোটা বেশি ছিলো না এখন যা হচ্ছে। খেয়াল করুন, যে ব্যক্তিটি পরমাণু কেন্দ্রে কাজ করছেন তার কাছে থাকা বিভিন্ন তথ্য সহজেই সংগ্রহ করে ফেলতে পারে এসব অ্যাপ। এমনকি ফোনালাপও খুব সহজেই রেকর্ড করে ফেলা যায়। ফলে পররাষ্ট্র নীতি কিংবা সরকারের বিভিন্ন গোপন পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যেতে পারে।

এর আগে, ২০২০ সালে চীনের বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে নিষিদ্ধ করে আদেশ জারি করেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply