খুলনা ব্যুরো:
খুলনায় চিকিৎসকদের কর্মবিরতির নেপথ্যের ঘটনা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজাল। ক্লিনিক ভাঙচুর ও চিকিৎসক লাঞ্ছনার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এএসআই নাইমুজ্জামান। ডা. নিশাত আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে আপত্তিকর আচরণ করার অভিযোগ পুলিশ সদস্যের স্ত্রী। অন্যদিকে, ক্লিনিক ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই চিকিৎসক।
জানা গেছে, খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নিশাত আবদুল্লাহ। তার রোগী ছিলেন এএসআই নাইমুজ্জামানের মেয়ে। সন্তানকে নিয়ে প্রায়ই ডাক্তার দেখাতে যেতেন নাইমুজ্জামানের স্ত্রী। জটিলতার শুরু সেখান থেকেই।
ডাক্তারের বিরুদ্ধে আপত্তিকর আচরণের অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী নারী। তার দাবি- হোয়াটসঅ্যাপেও উত্ত্যক্ত করতেন ডা. নিশাত আব্দুল্লাহ। ভুক্তভোগী বলেন, ইচ্ছে করে আমার বাচ্চার হাতে পচন ধরাচ্ছে যাতে আমি ডাক্তারদের কাছে যাই। এটা নিয়ে আমরা কিছু করতে পারলাম না। এরপর আবার আমার হাজবেন্ডের বিরুদ্ধে স্টেটমেন্ট দিচ্ছে।
এরই জেরে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি হক নার্সিং হোমে যান পুলিশ সদস্য নাইমুজ্জামান। তার বিরুদ্ধে চিকিৎসককে লাঞ্ছনা ও ক্লিনিকে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। তবে, নাইমুজ্জামান তা অস্বীকার করেছেন। বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি দাবি করে ছয় বছরের মেয়েকে নিয়ে বিএমএ ভবনে যান ক্ষমা চাইতে।
খুলনা বিএমএ সভাপতি শেখ বাহারুল আলম বলেন, আমি তো ওই পুলিশ সদস্যকে চিনি না। সে আমার পায়ের কাছে এসে ধপাস করে শুয়ে পড়ে বললো, আমারে ক্ষমা করে দেন। আমি বুঝতে পারি নাই তাই ভুল করেছি। তখনও দেখি তার স্ত্রী-কন্যাও কাঁদছে। আমি তো এসবে অনভ্যস্ত। আমি তাকে বললাম, দেখো বাবা, আমি এসব পায়ে ধরা পছন্দ করি না। আমি নিজেও কারও পা ধরি না।
পরে পুলিশ সদস্য নাইমুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ডা. নিশাত আব্দুল্লাহ। তাতে অপারেশন থিয়েটার ভাংচুরের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।
/এসএইচ
Leave a reply