প্যারিসের শিল্পী আমোরের উদ্যোগ, বর্জ্য থেকে নান্দনিক শিল্পকর্ম (ভিডিও)

|

শিল্পী উইলিয়াম আমোর। ছবি : সংগৃহীত

বর্জ্য থেকে দৃষ্টিনন্দন শিল্পকর্ম। দেখে বোঝার উপায় নেই তৈরি হয়েছে পরিত্যক্ত উপকরণ থেকে। কেনেজা, ডিওরের মতো বিলাসবহুল ইন্টেরিওর প্রতিষ্ঠানেও ব্যবহার করা হচ্ছে এসব শিল্প। ফ্রান্সের কারিগর উইলিয়াম আমোর প্রায় ১৫ বছরের চেষ্টায় রপ্ত করেছেন বর্জ্যকে নান্দনিক শিল্পে পরিণত করার কৌশল। খবর রয়টার্সের।

ভিডিওতে দেখা যায়,  প্রাণবন্ত বেগুনী টিউলিপ কিংবা হলুদ রঙ্গের ক্লেমাটিস। দেখামাত্রই যার সৌন্দর্য ছড়াবে মুগ্ধতা। সত্যিকারের ফুলের আদলে তৈরি কৃত্রিম এ ফুলগুলো বানানো হয়েছে আবর্জনা থেকে। শুধু কি ফুল, এমন হাজারো শিল্পকর্মের দেখা মিলবে প্যারিসের শিল্পী আমোরের স্টুডিওতে। যেগুলো শোভা পাচ্ছে প্যারিসের গ্রান্ড প্যালেসেও।

নান্দনিক সব সৃষ্টিতে উপাদান হিসেবে ব্যতিক্রমী উদ্যোগের এ শিল্পী বেছে নিয়েছেন বর্জ্যকে। ব্যবহার করেছেন পরিত্যক্ত প্লাস্টিক বোতল, ব্যাগ, সিগারেটের টুকরো, খাবারের প্যাকেট।

ছবি : সংগৃহীত

উইলিয়াম আমোর বলেন, চেষ্টা করি প্রকৃতি থেকেই উপকরণ নিতে। যেমন ধরুন সিগারেটের টুকরো কাজে লাগাই ফুলের পাপড়ি তৈরিতে।

কাঁচামাল খুঁজতে তাই কখনো নেমে পড়েন প্যারিসের রাস্তায় আবার কখনো হানা দেন ডাস্টবিনে। ময়লার স্তূপই তার কাছে সোনার খনি। সংগ্রহের পর জীবাণুমুক্ত করে নেয়া হয় স্টুডিওতে।

ছবি : সংগৃহীত

উইলিয়াম আমোর বলেন, ফুলগুলো আমি প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে তৈরি করেছি। আপনি এখানে যা দেখছেন প্রতিটিই আবর্জনা থেকে তৈরি। আমার স্টুডিওকে আপনি সাজানো ডাস্টবিনও বলতে পারেন।

ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফান্ডের তথ্যমতে প্রতিবছর ৪ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক ফেলা হয় সমুদ্রে। যাতে ভয়াবহ হুমকির মুখে পড়ছে জলজ জীব বৈচিত্র্য। তাই বর্জ্যের এমন পুনঃব্যবহারে সচেতনতা বাড়বে বলে আশাবাদী শিল্পী আমোর।

এএআর/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply