‘বিশ্বের সবচেয়ে অপরিণত যমজ’ হিসেবে গিনেজ বুকে কানাডিয়ান ভাইবোন

|

ছবি: সংগৃহীত

২২ সপ্তাহের মাথায় জন্মগ্রহণ করে বিশ্বের সবচেয়ে অপরিণত যমজ হিসেবে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছেন কানাডিয়ান ভাইবোন। অন্টারিওতে ২০২২ সালের ৪ মার্চ জন্মগ্রহণ করে আদিয়াহ এবং আদ্রিয়াল নাদারাজাহ; গর্ভাবস্থায় আসার ১২৬ তম দিনে। খবর বিবিসির।

গর্ভাবস্থায় পূর্ণ সময় হিসেবে সাধারণত ৪০ সপ্তাহকে ধরা হয়। সেই হিসেবে কানাডিয়ান এই যমজ ১৮ সপ্তাহের অপরিণত। গিনেজ বুক কর্তৃপক্ষ বলেছে, গর্ভাবস্থায় ২২ সপ্তাহ পূর্ণ করার এক ঘণ্টা আগেও যদি জন্ম হয় কোনো শিশুর, তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে বাঁচানোর জন্য বিশেষ কোনো চেষ্টা করে না।

ছবি: সংগৃহীত

যমজ শিশুর মা শাকিনা রাজেন্দ্রাম জানান, ২১ সপ্তাহ ৫ দিনের মাথায় তার প্রসব ব্যথা শুরু হয়। চিকিৎসকরা জানান, শিশুদের অবস্থা ভালো নয় এবং, বাঁচার সম্ভাবনা শূন্য শতাংশ। এছাড়া, এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো গর্ভবতী হন শাকিনা। অন্টারিওতে বাসস্থানের কাছে সেই হাসপাতালেই প্রসবের সময় তার প্রথম সন্তানের মৃত্যু হয়।

বাবা কেভিন নাদারাজাহ বলেন, হাসপাতাল থেকে বলা হয়, এ ধরনের প্রাথমিক গর্ভাবস্থার ক্ষেত্রে শিশুকে বাঁচানো তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। সারারাত কাঁদতে কাঁদতে কেবল প্রার্থনাই করেছি।

অধিকাংশ হাসপাতালই ২৪ থেকে ২৬ সপ্তাহের আগে জন্ম নেয়া নবজাতকদের বাঁচানোর চেষ্টা করে না। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে টরন্টোর মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে যেতে পেরেছিলেন এই দম্পতি। হাসপাতালটিতে রয়েছে নবজাতকদের জন্য বিশেষায়িত নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট।

ছবি: সংগৃহীত

শাকিনার প্রসব ব্যথার দ্বিতীয় দিন ছিল গর্ভাবস্থায় ২১ সপ্তাহ ৬ দিন। তাকে বলা হয়েছিল, ২২ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার কয়েক মিনিট আগেও যদি জন্ম নেয় শিশু, তবে তাকে বাঁচানো অনেকটাই অসম্ভব হয়ে পড়বে। তুমুল রক্তক্ষরণের মাঝেও তাই শিশুর জন্মগ্রহণ আরও কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখার চেষ্টা করে যান শাকিনা। মধ্যরাতের ১৫ মিনিট পর পানি ভেঙে যায় তার। মাতৃগর্ভে আসার ২২ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার দুই ঘণ্টা আগেই জন্ম হয় যমজ শিশুর।

স্বাস্থ্যগত নানা অসুবিধার মধ্যেও আদিয়াহ ও আদ্রিয়াল পূর্ণ করেছে এক বছর। শাকিনা বলেন, চোখের সামনে ওদের কয়েকবার প্রায় মরেই যেতে দেখেছি। চিকিৎসকের অধীনে থাকলেও এই যমজ শিশু এখন বেশ ভালো আছে।

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply