সিনেমায় অনুদান বাড়াতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

|

সিনেমা তৈরিতে সরকারি অনুদান বৃদ্ধি করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুকরণ না করে বাস্তবভিত্তিক ও সমাজনির্ভর সিনেমা তৈরি করতে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) জাতীয় চলচিত্র পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশ দেন। বললেন, টেলিভিশনের টকশোতে ক্রমাগত সরকারের সমালোচনা করলেও অনেকেই বলে তাদের কথা বলতে দেয়া হয় না। একটি গোষ্ঠি সবসময়ই এ অভিযোগ করে আসছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে এক হাজার কোটি টাকার ফান্ড গঠন করেছে বর্তমান সরকার। দুঃস্থ শিল্পী ও কলাকুশলীদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে বিত্তশালী শিল্পীদের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি। একই সঙ্গে নতুন প্রজন্মের সামনে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণের আহ্বান জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।

এ সময় সরকার প্রধান ভবিষ্যতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মান বৃদ্ধির তাগিদ দেন।
২০২১ সালে চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদান রাখায় ২৭ ক্যাটাগরিতে ৩৪টি পুরস্কার দেয়া হচ্ছে শিল্পীদের।

এবারের আসরে চলচ্চিত্র শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন প্রখ্যাত অভিনয়শিল্পী ডলি জহুর ও ইলিয়াস কাঞ্চন। যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ ও ‘নোনাজলের কাব্য’। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক হয়েছেন রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত (নোনাজলের কাব্য)।

সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে পুরস্কার জিতেছে আকা রেজা গালিব পরিচালিত ‘ধর’ এবং সেরা তথ্যচিত্র বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে ‘বধ্যভূমিতে একদিন’। যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার জিতেছেন মো. সিয়াম আহমেদ (মৃধা বনাম মৃধা) ও মীর সাব্বির মাহমুদ (রাতজাগা ফুল) এবং যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী নির্বাচিত হয়েছেন আজমেরী হক বাঁধন (রেহানা মরিয়ম নূর) ও তাসনোভা তামান্না (নোনাজলের কাব্য)।

‘নোনাজলের কাব্য’ চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ পরিচালক ও শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীসহ সাতটি পুরস্কার জিতে নিয়েছে। পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা এম ফজলুর রহমান বাবু (নোনাজলের কাব্য), পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী শম্পা রেজা (পদ্মপুরাণ), খল চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা মো. আবদুল মান্নান জয়রাজ (লাল মোরগের ঝুঁটি), কৌতুক চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রভাষ কুমার ভট্টাচার্য্য মিলন (মৃধা বনাম মৃধা), শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী আফিয়া তাবাসসুম (রেহানা মরিয়ম নূর), শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক সুজেয় শ্যাম (যৈবতী কন্যার মন), শ্রেষ্ঠ গায়ক কেএম আবদুল্লাহ-আল-মুর্তজা মুহিন (শোনাতে এসেছি আজ-পদ্মপুরাণ), শ্রেষ্ঠ গায়িকা চন্দনা মজুমদার (দেখলে ছবি পাগল হবি-পদ্মপুরাণ), শ্রেষ্ঠ গীতিকার প্রয়াত গাজী মাজহারুল আনোয়ার (অন্তরে অন্তর জ্বালা-যৈবতী কন্যার মন), শ্রেষ্ঠ সুরকার সুজেয় শ্যাম (অন্তরে অন্তর জ্বালা-যৈবতী কন্যার মন) পুরস্কার পেয়েছেন।

এছাড়া শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত (নোনাজলের কাব্য), শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার নূরুল আলম আতিক (লাল মোরগের ঝুঁটি), শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা তৌকীর আহমেদ (স্ফুলিঙ্গ), শ্রেষ্ঠ সম্পাদক সামির আহমেদ (লাল মোরগের ঝুঁটি), শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক শিহাব নূরুন নবী (নোনাজলের কাব্য), শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক দলগত-সৈয়দ কাশেফ শাহবাজি, সুমন কুমার সরকার, মাজহারুল ইসলাম রাজু (লাল মোরগের ঝুঁটি), শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক শৈব তালুকদার (রেহানা মরিয়ম নূর), শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা ইদিলা কাছরিন ফরিদ (নোনাজলের কাব্য) এবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply