যেসব কারণে কিনঝালকে সবচেয়ে ভয়াবহ ও কার্যকর অস্ত্র বলছে মস্কো

|

ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ছবি।

আবারও আলোচনায় শব্দের চেয়ে ৫ গুণ বেশি গতিসম্পন্ন রুশ ক্ষেপণাস্ত্র কিনঝাল। হাইপারসনিক এ মিসাইলকে বলা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ ও কার্যকর অস্ত্র। শব্দের চেয়েও পাঁচগুণ বেশি গতি, বিমানের মতো নিয়ন্ত্রণের সুবিধা ও রাডার ফাঁকি দেয়ার সক্ষমতা থাকায় কিনঝাল পরিণত হয়েছে মোক্ষম এক ক্ষেপণাস্ত্রে। খবর সিএনএনের।

২০১৮ সালে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাষ্ট্রীয় ভাষণে কয়েকটি নতুন ধরনের অস্ত্রের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন বিশ্বকে। তার মধ্যে অন্যতম ছিল কিনঝাল। সেদিন থেকেই আলোচনায় বিশ্বের প্রথম হাইপারসনিক মিসাইলটি। যা ক্রমেই পরিণত হয় পশ্চিমাদের মাথাব্যাথা আর সমরবিদদের আগ্রহে।

দ্রুত গতি, নিয়ন্ত্রণের সুবিধা এবং রাডার ফাঁকি দেয়ার ক্ষমতার জন্যই অজেয় কিনঝাল। রুশ প্রেসিডেন্ট একে আখ্যা দিয়েছেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অস্ত্র হিসেবে।

জানা যায়, শব্দের চেয়ে কয়েক গুণ দ্রুত গতিতে ছুটে যেতে পারে কিনঝাল। যুদ্ধ বিমান, জাহাজ কিংবা ভূমি থেকে ছোড়া যায় কিনঝালকে; পরিচালনা করা যায় বিমানের মতো। ফলে, এটি ফাঁকি দিতে পারে বিশ্বের সর্বাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকেও। এ ক্ষেপণাস্ত্রের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় সাড়ে ১২ হাজার কিলোমিটার। এমনকি এটি ২ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েও নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে পারে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে।

২৬ ফুট লম্বা এ অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওজন প্রায় ৪ হাজার ৩০০ কেজি। পরমাণু অস্ত্র বহনেও সক্ষম কিনঝাল মিসাইল। বিধ্বংসী আর অপ্রতিরোধ্য হওয়ায় কিনঝাল নিয়ে মুখর পশ্চিমা বিশ্ব। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) আবারও আঘাত হানে এ কিনঝাল। এখন পর্যন্ত দুবার এ অস্ত্রের ব্যবহার করেছে রাশিয়া। যার ভয়াবহ পরিণতি দেখেছে ইউক্রেন।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনী মুখপাত্র ইউরি ইহনাত বলেন, রাশিয়া এখন পর্যন্ত যতোগুল হামলা চালিয়েছে তার মধ্যে এটির পরিধি ছিল সবচেয়ে বড়। অন্তত ৬টি কিনঝাল ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে কিয়েভে। শুধু কিনঝালই নয় এক্স-২২ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েও হামলা চালানো হয়েছে। কিনঝাল ও এক্স-২২ দুটোর কোনোটাই আমরা ভূপাতিত করতে পারি না। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আমাদের।

প্রসঙ্গত, রাশিয়া ছাড়াও চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রভাণ্ডারে রয়েছে হাইপারসনিক মিসাইল। এর পাশাপাশি আরও পাঁচটি দেশ হাইপারসনিক মিসাইল তৈরির চেষ্টা করছে।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply