তাওহীদ মিথুন:
কাল (১১ মার্চ) ময়মনসিংহ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাঁচ বছর পর চতুর্থবারের মতো তার আগমন ঘিরে নগরজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। ময়মনসিংহ বিভাগ ও সিটি করপোরেশনসহ নানা উন্নয়নের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন নিয়ে শহর সেজেছে নবরূপে।
২২৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ব্রহ্মপুত্র নদের কোল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে প্রাচীন শহর ময়মনসিংহ। একসময়ের খরস্রোতা এই নদের এখন সংস্কার চলছে। ২০১৮ সালে সিটি কর্পোরেশন হওয়ার পর পুরাতন নগরীর উন্নয়নের সাথে তাল মিলিয়ে নদের অপরপ্রান্তে গড়ে উঠছে স্যাটেলাইট সিটি।
২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিভাগের মর্যাদা পায় ময়মনসিংহ। ৫ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ময়মনসিংহ গিয়ে ৭৩টি নবনির্মিত প্রকল্পের দ্বার উন্মোচন করবেন। ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এই নগরীকে পূর্ণতা দিতে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন আরও ৩০টি প্রকল্পের। প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ৩২ উপজেলার সুপেয় পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন লাইন। কমপক্ষে ২১টি স্কুল-কলেজে নির্মাণ করা হয়েছে নতুন অ্যাকাডেমিক ভবন।
আর এসব নিয়ে উচ্ছ্বাস রয়েছে ময়মনসিংহের প্রান্তিক মানুষের মধ্যেও। তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী আসবেন অনেক উপহার নিয়ে। আগেও দিয়েছেন, এবারও দেবেন। সবার মুখে হাসি ফোটাবেন তিনি। ময়মনসিংহবাসীরও এবার কিছু দেয়ার পালা। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে ময়মনসিংহ প্রস্তুত।
নির্বাচনের বাকি যখন ৯ মাস, তখন ময়মনসিংহের সার্কিট হাউস মাঠে জনসভায় ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, মঞ্চের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। যারা আসবেন তাদের যেন কোনো অসুবিধা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। সকল ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আশা করছি, এই সমাবেশ সুন্দর ও সার্থক হবে।
সার্কিট হাউস মাঠের জনসভায় ১২ লাখের বেশি জনসমাগম ঘটবে বলে আশা করছে নেতারা। ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম বলেন, আশা করছি এই মাঠে তিল ধারণের ঠাই থাকবে না। মাঠ ভর্তি হয়ে ময়মনসিংহ শহরের রাস্তাঘাটও পূর্ণ হয়ে যাবে। এটি হবে স্মরণাতীতকালের বৃহত্তম জনসভা। এর জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি আমরা সম্পন্ন করেছি।
/এম ই
Leave a reply