তীব্র খরার কারণে শুকিয়ে যাচ্ছে জার্মানির রাইন নদী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতি সেকেন্ডে জলাধার থেকে কমে যাচ্ছে একটি বড় সুইমিংপুলের সমপরিমাণ পানি। ভরা মৌসুমেও চর জেগেছে নদীতে। পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে পানি সংকট, পরিবহন ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হওয়াসহ শিল্পখাতেও বিপর্যয়ের শঙ্কা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। খবর রয়টার্সের।
ইউরোপের দীর্ঘতম নদী রাইন। অঞ্চলটিতে মিঠা পানির গুরুত্বপূর্ণ যোগানদাতাও এই জলাশয়। কিন্তু তীব্র খরায় তলানিতে ঠেকেছে জার্মানির এই স্রোতস্বিনীর পানি। মাঝ নদীতেও জেগে উঠেছে চর। পানির স্তর এতটাই নিচে নেমে গেছে যে খালি চোখেই দেখা যাচ্ছে তলদেশে থাকা পাথর আর বালু।
এ ব্যাপারে জলবায়ু বিশেষজ্ঞ কারস্টেন ব্রান্ডট বলেন, ২০১৮ সাল থেকে আমরা দেখছি শীতকালে জলাশয়ে পর্যাপ্ত পানি থাকে না। এখন যেখানে দাঁড়িয়ে আছি সেখানে অন্তত পাঁচ ফুট পানি থাকার কথা ছিল। ফেব্রুয়ারি মার্চেই যদি এমন পরিস্থিতি হয়, বাকি বছর তো পড়েই আছে। সামনে আরও কঠিন সময় আসছে।
এ জলবায়ু বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, ইউরোপ অঞ্চল ধীরে ধীরে শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে। সল্পমেয়াদে চিন্তা করতে গেলে, বৃষ্টি হলে পরিস্থিতির কিছুটা পরিবর্তন আসবে। কিন্তু মার্চের শেষ অবধি আবারও শুষ্ক হয়ে যাবে। এখন রাজনীতিবিদদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথা দীর্ঘমেয়াদে গোটা ইউরোপের জন্য দুঃসময় অপেক্ষা করছে।
তীব্র খরায় এমন পরিস্থিতি জার্মানির আরেও অনেক জলাশয়ের। পানি সংকটের পাশাপাশি কৃষিকাজ, কারখানার উৎপাদনসহ বিভিন্ন খাত নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। আর পানিপথে পরিবহনের জন্য রাইন নদীর ওপর অনেকখানি নির্ভরশীল থাকায় শিল্পখাতে বিপর্যয়ের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
খরায় বিপর্যস্ত ইউরোপের আরেক দেশ ফ্রান্সও। শুকিয়ে যাচ্ছে দেশটির দীর্ঘতম নদী লুয়াহ। পানি সংকট উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে পৌঁছানোয় নানা পদক্ষেপ নিয়েছে ফরাসি সরকার।
এটিএম/
Leave a reply