জ্বলে উঠলো লিটন দাসের ব্যাট

|

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টানা ৫ ম্যাচে ব্যর্থতার পর অবশেষে সিরিজের শেষলগ্নে জ্বলে উঠলো লিটন দাসের ব্যাট। খেললেন টি-টোয়েন্টিতে তার ক্যারিয়ার সেরা ৭৩ রানের ইনিংস। বিপিএল ফাইনালের পর থেকেই ছন্দহীন লিটন আবার ফিরলেন চেনা ছন্দে।

ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে তার কোনো ফিফটি নেই। টেস্ট সিরিজে চার ইনিংসের ৩টিতেই ভালো শুরু পেয়েও আউট। তবে শেষটায় ৭৩ রানের ইনিংস খেলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রানে ফেরার। ভারত সিরিজে কিছুটা ছন্দপতন বাদ দিলে ২০২২ সালটা স্বপ্নের মতোই কেটেছিলো লিটনের। টি টোয়েন্টিতে ৪ ফিফটিতে ৫৪৪, ওয়ানডেতে ১ সেঞ্চুরি আর ৪ হাফ সেঞ্চুরিতে ৫৭৭ আর টেস্টে ২ শতক আর ৫ অর্ধশতকে ৮০০ রান করা লিটন তিন ফরম্যাটেই ছিলেন দেশের টপ স্কোরার।

২০২৩ সালের শুরুটাও একেবারে মন্দ যায়নি এলকেডি’র। বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন দল কুমিল্লার হয়ে ১৩ ইনিংসে ২৯.১৫ গড়ে ৩৭৯ রান করেছিলেন এ ওপেনার। ফিফটি পেয়েছিলেন ৩টি। আর, ফাইনালে খেলেছিলেন ৫৫ রানের ঝলমলে এক ইনিংস। তবে ইংল্যান্ড সিরিজের শুরু থেকেই দেখা যাচ্ছিলো অচেনা এক লিটনকে।

তিন ওয়ানডের প্রথমটিতে মাত্র ৭ রান। পরের দুই ম্যাচে জোড়া শূন্য। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১২ আর দ্বিতীয় ম্যাচে ৯ রান করেই ফিরেছিলেন লিটন। ৬ ম্যাচ সিরিজের ৫ ম্যাচে লিটনের মোট রান ২৮। যা ছিল সময়ের সেরা ওপেনারের নামের পাশে বড্ড বেমানান। রান মেশিনের এই রান খরা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয় ফিসফাস। পরীক্ষিত এ ব্যাটারের এমন অফর্ফমে দুশ্চিন্তায় পড়ে বাংলাদেশ শিবির।

তবে মিরপুরে ইংল্যান্ডের সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে আবারও শৈল্পিক ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ করলেন লিটন। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে রান করেছিলেন ২০ বলে ২১। এরপর হুট করেই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে পরের ২০ বলে করে ফেলেন হাফ সেঞ্চুরি। ওপেনিংয়ে রনি তালুকদারকে সঙ্গে নিয়ে ৪৫ বলে ৫৫ আর ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নামা নাজমুল শান্তর সঙ্গে গড়েন ৫৮ বলে ৮৪ রানের জুটি। ক্যারিয়ারের ৬৮তম টি-টোয়েন্টিতে লিটন তুলে নিলেন নবম ফিফটি।

ক্রিস জর্ডানের বলে ক্যাচ তুলে আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত লিটন খেলছিলেন তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংসটি। ৫৭ বলে ৭৩ রানের ইনিংসটি সাজান ১০ চার আর ১ ছয়ে। ফর্মকে টেম্পোরারি বানিয়ে এদিন আবারও নিজের ক্লাস দেখালেন ‘দ্য এলকেডি’।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply