রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এটি আইসিসি’র ‘ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত’ বলে আখ্যা দিয়েছে ইউক্রেন। স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় মিত্ররা। তবে বিষয়টিকে আমলেই নিতে নারাজ রাশিয়া। এমনকি আইসিসি’র এ আদেশকে টয়লেট পেপারের সাথে তুলনা করেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র। খবর এনডিটিভির।
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের প্রায় শুরুর দিক থেকেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। যুদ্ধের ৩৮৭তম দিনে ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিলো আইসিসি। এরই মধ্যে আইসিসির এ রায়কে ‘ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত’ বলে আখ্যা দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। রাশিয়ায় সরিয়ে নেয়া শিশুদের দেশে ফিরিয়ে আনার সব চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তিনি। কিয়েভের বাসিন্দারাও আনন্দিত। তবে আটকাদেশ কার্যকর নিয়ে রয়েছে ঘোর সন্দেহ।
এ দিকে, এই রায়কে গায়েই মাখছে না রাশিয়া। টুইটবার্তায় এই রায়কে টয়লেট পেপারের সাথে তুলনা করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ বলেন, বিষয়টি আপত্তিকর ও অগ্রহণযোগ্য। রাশিয়া এই আদালতের বিচার ক্ষমতাকে স্বীকৃতিই দেয় না। আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে আইসিসির রায় রুশ ফেডারেশনের কাছে অর্থহীন।
অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয়। পুতিনের জন্য বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ কঠিন হবে। কারণ অনেক দেশই আইসিসি’র সদস্য। শিশুদের বিরুদ্ধে রাশিয়া যে অপরাধ করেছে, আন্তর্জাতিক আইনে যা ঘৃণ্যতম।
এ নিয়ে ইইউ এর পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল বলেন, ইউক্রেনের জনগণের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ। সবসময় বলে এসেছি, ইউক্রেনে অবৈধ আগ্রাসনে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। এ নৃশংতার জবাবদিহিতা শুরু হলো আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এ পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে।
এসজেড/
Leave a reply