স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, নতুন আইনে খুব বেশি সংযোজন-বিয়োজন করা হয়নি। আগে যেখানে ২ বছর বা তিন বছর জেল ছিলো সেখানে এখন ৫ বছর করা হয়েছে। সেই সাথে ড্রাইভারদের ট্রেনিং ইনস্টিটিউশনের বিষয়ে সরকার পদক্ষেপ নেবে। যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন স্থানে চালকদের রেস্ট সেন্টারগুলো তড়িৎ গতিতে করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জনসচেতনতার কথাও বলেছেন।
আজ সোমবার মন্ত্রিসভায় সড়ক পরিবহন আইনের খসড়া অনুমোদনের পর সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এসময় রাঙ্গা আরও বলেন, আমরা মনে করি এই আইনটা যদি সঠিকভাবে প্রয়োগ হয় তাহলে কোনো সমস্যা হবে না।
আইন বাস্তবায়ন করতে গেলে দেখা যায় নানা সময় আপনারা ধর্মঘট করেন এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কোনো ধর্মঘট বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি করেনি। একবার এক চালককে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ার কারণে ধর্মঘট ডেকেছিলাম। পরে খবর নিয়েছি সেটি সঠিক ঘটনা ছিলো। তাই আমরা আর বাড়াবাড়ি করি নাই। গত আট বছরে বা এই সরকারের সময় ঘোষণা দিয়ে কোনো ধর্মঘট দেয়া হয়নি।
খসড়ায় মৃত্যুদণ্ডের বিধার রাখার বিষয়ে রাঙ্গা বলেন, যদি কোনো ড্রাইভারের লাইসেন্স না থাকে এটি তার দোষ। এসময় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে মামলা ৩০২ ধারায় (সাজা মৃত্যুদণ্ড) হলেও আমরা কোনো আপত্তি করবো না। যদি লাইসেন্স না থাকে তাহলে ওই গাড়ি তো গাড়ি না। সেটি একটি জড় পদার্থ। একই সঙ্গে দেখতে হবে গাড়ির ফিটনেস আছে কিনা। যদি ফিটনেস না থাকে তাহলে এটার দায় গাড়ির মালিকের। সেক্ষেত্রে মালিকও ৩০২ ধারার মামলায় জড়িয়ে যেতে পারেন।
নতুন আইনের কারণে কোনো চাপ অনুভব করছেন কিনা এ বিষয়ে তিনি বলেন, না। আমরাও তো মানুষ। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহনের সভাপতিত্ব করছি। আমাদের বাচ্ছারাও তো বাসে চলাফেরা করে।
সড়কে গণপরিবহন চলাচলে বিশৃঙ্খলা আছে স্বীকার করে রাঙ্গা বলেন, নানা কারণে বিশৃঙ্খলা হয়। দুর্ঘটনা হয়। শুধু একটা কারণে দুর্ঘটনা হয় না। এর জন্য ১০৫টা কারণ দায়ি। রংপুর থেকে আসতে ৫/৬ ঘণ্টা লাগে। কিন্তু এখন লাগছে ১২/১৩ ঘণ্টা। চার লেন হচ্ছে তাই এটুকু সহ্য করতে হচ্ছে।
আইনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন আছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেফটি জোনে গিয়ে মারলো কাউকে এটা ৩০২ ধারায় মামলা হতে পারে। আইন শক্ত আছে। প্রয়োগ করতে গেলেই হয়তো বিচারকরাও একটু শঙ্কিতের মধ্যে থাকেন, এটা নিয়ে আবার হরতাল হবে, ধর্মঘট হবে, গাড়ি বন্ধ হয় যাবে। এখন সে সুযোগটা নেই। কুর্মিটোলায় সড়ক দুর্ঘটনাও ৩০২ ধারায় হতে পারে বলে জানান তিনি।
Leave a reply