চলমান আন্দোলনের আগুনে ঘি ঢাললো ইসরায়েলি সরকার। ‘বিচার বিভাগীয় সংস্কার’ প্রস্তাব বাতিল তো দূরের ব্যাপার, ইস্যুটি নিয়ে জনসম্মুখে কথা বলায় প্রধানমন্ত্রী বরখাস্ত করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে। স্পষ্ট ইঙ্গিত তার, প্রশাসনের বিরোধিতা করলে, যেকেউ পাবে মোক্ষম জবাব। ক্ষুব্ধ ইহুদিদের অভিযোগ, দেশকে স্বৈরশাসনের দিকে নিচ্ছে কট্টর ডানপন্থী প্রশাসন। এ অবস্থা চলতে থাকলে, সরকারের পতন অনিবার্য। খবর রয়টার্সের।
সোমবার (২৭ মার্চ) ভোরে জেরুজালেমে ভেঙে ফেলা হয় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের নিরাপত্তা বেষ্টনী। সরকার পতনের স্লোগান দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েন ক্ষুব্ধ ইসরায়েলিরা। জনস্রোত মোকাবেলায় বাধ্য হয়েই পুলিশ ব্যবহার করে জলকামান। চালায় ধরপাকড়।
শুধু বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাড়িই নয়। ইসরায়েলি পার্লামেন্ট, নেসেটের বাইরে রাতভর ছিল আন্দোলনকারীদের অবস্থান। গুরুত্বপূর্ণ সব সড়ক আটকে তোলেন ‘বিচার বিভাগীয় সংস্কার প্রস্তাব’ বাতিলের জোরালো দাবি। অভিযোগ, দেশে স্বৈরতন্ত্র কায়েম করছে কট্টর ডানপন্থী সরকার।
বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও করেছিলাম আমরা। সেখানে জলকামান থেকে পানি ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করা হয় আন্দোলনকারীদের। এরপরই নেসেট বা পার্লামেন্টের বাইরে অবস্থান নিয়েছি। যেকোনো মূল্যে অস্থিরতার শেষ দেখতে চাই।
আরেকজন বলেন, এটা কোনোভাবেই গণতন্ত্র হতে পারে না। নতুন এই সরকার কাঠামোকে ‘পদ্ধতিগত শাসন ব্যবস্থা’ বা ‘ফাঁকা গণতন্ত্র’ আখ্যা দেয়া যেতে পারে। যা সাধারণত রাশিয়া ও ভেনেজুয়েলায় দেখা যায়। পৃথিবী উল্টে গেলেও সেখানে স্বৈরতন্ত্র থাকবে।
সরকারের ওপর আগেই ছিল সাধারণ ইসরায়েলিদের ক্ষোভ। শনিবার বিতর্কিত প্রস্তাবটি বাতিলের দাবি তোলা প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে হঠানোর ঘটনায় আরও ছড়ায় উত্তাপ। প্রধানমন্ত্রী সরাসরি টুইট দেন, সংস্কার প্রত্যাখ্যানের বিরুদ্ধে সবার শক্ত অবস্থানে থাকা উচিত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমতো নিন্দার ঝড় তুলেছেন বিরোধী দলীয় নেতারা। ছাড় দিচ্ছেন না সরকার পক্ষের কূটনীতিকরাও।
এটিএম/
Leave a reply