ভাবিকে খুনের অভিযোগে পুলিশের এএসআই গ্রেফতার

|

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, নেত্রকোণা:

নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলায় চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী ঝর্ণা আক্তারকে হত্যার অভিযোগে দেবর পুলিশের এএসআই ফিরোজ খাঁকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৪।

রোববার (২ এপ্রিল) গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেন পূর্বধলার থানার ওসি সাইফুল ইসলাম। এর আগে গত শনিবার দুপুরের দিকে পুলিশের এই কর্মকর্তাকে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেফতার এবং ওইদিন রাতে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে র‌্যাব।

গ্রেফতার হওয়া ফিরোজ খাঁ ওই উপজেলার ধলামূলগাওঁ ইউনিয়নের আগমারকেন্ডা গ্রামের আ. সাত্তার খাঁর ছেলে। তিনি বাংলাদেশ পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট ময়মনসিংহে কর্মরত ছিলেন। আর নিহত ঝর্ণা আক্তার ওই পুলিশ কর্মকর্তার চাচাতো ভাই আলম খাঁর স্ত্রী।

পুলিশ সূত্ৰে জানা যায়, গ্রেফতার ফিরোজ খাঁ ও তার ভাইদের সাথে পূর্ব থেকে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল। চলতি বছরের গত ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় ফিরোজ খাঁর ভাই খোয়াজ খাঁ পারিবারিক বিষয় নিয়ে নিজের মেয়ে তামান্না আক্তারকে (১৭) মারধর করেন। মারধর থামাতে গিয়ে তার চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার মারধরের শিকার হন। পূর্বের বিরোধে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটনার পরদিন ২৭ মার্চ দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুপক্ষের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে পুলিশের ওই কর্মকর্তাসহ তার ভাইয়েরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে চাচাতো ভাই আলম খাঁর স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার, ছেলে তামিম ও ভাই পাপন এবং ভাতিজা মাহাবুব ও সাকিবকে পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে নেত্রকোণা হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত ১১টার দিকে ফের হামলা করে ঝর্ণাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। ওই সময় গুরুতর আহত ঝর্ণাকে প্রথমে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৯ মার্চ (বুধবার) বিকলে ঝর্ণা আক্তার মারা যান।

এ ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তাকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে পূর্বধলার থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃতকে রোববার বিকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের ভাই মো. রুহুল আমিন বাদী হয়ে দায়ের করা মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply