বিশ্বজুড়ে এখন কারাগারে বন্দি আছেন সাড়ে পাঁচশ’র বেশি সাংবাদিক। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও বছরে গ্রেফতার হয় গড়ে প্রায় ৫০ জন সংবাদকর্মী। সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক গ্রেফতারের বেশিরভাগ ঘটনাই অবশ্য ঘটে চীন, মিয়ানমার ও ইরানসহ কয়েকটি দেশে।
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ, লাখ লাখ মার্কিন গোপন নথি প্রকাশ করে ব্যাপক আলোচনায় আসেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা। এক দশক ধরে যুক্তরাজ্যে কাটাচ্ছেন বন্দি জীবন, ২০১৯ সাল থেকে রয়েছেন কারাগারে। সুইডেনে তার বিরুদ্ধে আছে ধর্ষণের মামলা।
শুধু অ্যাসাঞ্জ নয়, প্রকাশিত সংবাদের কারণে বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক গ্রেফতার বা বন্দি থাকার ঘটনা আছে আরও অনেক। বর্তমানে বিভিন্ন দেশে কারাবন্দি জীবন কাটছে ৫৬৫ সংবাদকর্মীর, যাদের বেশিরভাগই কোনো কোনোরকম বিচার ছাড়াই বছরের পর বছর ধরে বন্দি রয়েছেন।
যতো সাংবাদিক জেলে যায়, তার দুই-তৃতীয়াংশের বিরুদ্ধেই আছে রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধের অভিযোগ। এছাড়া সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগেও আটক হয়েছেন অনেকে।
সবচেয়ে বেশি সাংবাদিক কারাবন্দি জীবন কাটাচ্ছেন চীনে। দেশটিতে বর্তমানে জেলে আছে শতাধিক সাংবাদিক। এছাড়া মিয়ানমারে আটক রয়েছে ৮০ জন।
মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য পরিচিত পশ্চিমা অনেক দেশেও রয়েছে সাংবাদিক গ্রেফতারের ঘটনা। প্রেস ফ্রিডম ট্রাকারের তথ্যমতে, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গেলো ৩ বছরে গ্রেফতার হয়েছেন ২১৯ সংবাদকর্মী। তুরস্কেও বন্দি জীবন কাটছে ৩৫ সাংবাদিকের।
তথ্য সূত্র: রিপোর্টার্স উইথআউট বর্ডার, প্রেস ফ্রিডম ট্রাকার
এটিএম/
Leave a reply