দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে নিজেদের প্রথম ইনিংসে অলআউট হলো বাংলাদেশ। যেখানে প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকরা লিড নিয়েছে ১৫৫ রানের। মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরির পরও আইরিশ বোলার ম্যাকব্রিনের ৬ উইকেট শিকারে ৩৬৯ রানেই গুটিয়ে যায় টাইগাররা।
আগের দিনের ২ উইকেটে ৩৪ রান নিয়ে ২য় দিনের খেলা শুরু করেন মুমিনুল ও মুশফিকুর রহিম। এদিন আবারও হতাশ করেছেন মুমিনুল হক। আগের দিনের সাথে মাত্র ৬ রান যোগ করে মার্ক অ্যাডায়ারের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন এ বাঁ-হাতি ব্যাটার।
তবে এরপরের গল্পটা লিখেছেন মুশফিক আর সাকিব। ১৮৮ বলে ১৫৯ রানের জুটি দেখলে যে কেউই ধাঁধাঁয় পড়তে পারেন টেস্ট না কি ওয়ানডে ভেবে। ৯৪ বলে ৮৭ রান করে যখন সাকিব আউট হন তখন দলের রান ১৯৯। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করা সাকিব হাঁকিয়েছেন ১৪টি চারের মার।
সাকিব সেঞ্চুরি মিস করলেও মুশফিক সে ভুল করেন নি। লিটনের সাথে ৫ম উইকেট জুটিতে ৮৪ বলে ৮৭ রান তোলেন মুশি। হাফ-সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৭ রান দূরে থাকতে আউট হন লিটন দাস। ৪১ বলে ৪৩ রান করা লিটনও ছিলেন দ্রুত রান তোলার নেশায়।
তবে ক্যারিয়ারের ১০ম সেঞ্চুরি তুলে দলকে সম্মানজনক লিড এনে দেন মুশফিক। ১২৬ রান করে ম্যাকব্রিনের বলে আউট হন তিনি।
এরপরের সময়টুকু ছিলো আইরিশ স্পিনার অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনের। মুশফিককে আউট করার পর তাইজুল, শরিফুল আর এবাদতকে ফিরিয়ে টেস্টে প্রথমবারের মত ৫ উইকেট শিকার করেন অ্যান্ডি। মাত্র ৩য় টেস্ট খেলতে নামা ম্যাকব্রিন ১১৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ৬ উইকেট।
তবে এক প্রান্ত ধরে রেখে অর্ধশতক তুলে নেন মেহেদী মিরাজ। শেষ ব্যাটার হিসেবে দলীয় ৩৬৯ রানে যখন মিরাজ আউট হন তখন তার রান ৫৫।
১৫৫ রানে পিছিয়ে থেকে ২য় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে রীতিমত নাস্তানাবুদ আইরিশ ব্যাটাররা। বল হাতে প্রথম আঘাত হানেন অধিনায়ক সাকিব। প্রথম ওভারেই জেমস ম্যাককুলামকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন সাকিব। যদিও প্রথমে আম্পায়ার নট আউটের সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। রিভিউ’তে হতাশ হতে হয়নি স্বাগতিকদের।
এরপর কমিন্স আর বালবির্নেকে আউট করে আইরিশদের কঠিন চাপে ফেলে দেন তাইজুল ইসলাম।
/এ এইচ
Leave a reply