সাইফুদ্দিন রবিন:
মঙ্গলবার থেকে দুঃস্বপ্নের সঙ্গে বসবাস বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের। এই দুর্ঘটনার পর থেকেই নির্ঘুম রাত শেষে দিনের শুরুতে তারা ছুটে আসছেন ধ্বংসস্তুপে। নিজেদের পোড়া দোকান দেখে হাহাকার করে ওঠে তাদের মন। বুঝতে পারছেন না কোটি কোটি টাকার ক্ষতি কীভাবে কাটিয়ে উঠবেন।
একেক ব্যবসায়ী বলছিলেন নিজদের ক্ষতির পরিমাণ। এরমধ্যে ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে এক ব্যবসায়ী বলেন, মায়া এমন এক জিনিস, মায়ার বন্ধন ছাড়তে পারছি না।
মায়ের নামে চালু করা মনোয়ারা গার্মেন্টের মালিকের সঙ্গে আলাপ হয়, পুড়ে যাওয়া দোকানের মেঝের ওপর দাঁড়িয়ে। দোকান নাম্বার মনে থাকলেও ঠিক মেলাতে পারছেন না নিজের কোনটি। সবটাই বিধ্বংস্ত-বিরান ভূমি।
নিঃস্ব ব্যবসায়ীরা সরকারের আর্থিক সহায়তার দিকে তাকিয়ে। একইসঙ্গে তাদের দাবি বহুতল ভবন নির্মাণের অজুহাতে এই স্থান যেনো হাতছাড়া না হয়। কেননা, গুলিস্তানের পুরান বঙ্গবাজারের অভিজ্ঞতা তাদের ভালো নয়।
ব্যবসায়ীরা বলেন, ৯৫ সালে দোকান আগুনে জ্বলে গেছে। দোকানগুলো আজও আমাদের বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। যেখানে এত বছরেও ওই মার্কেটটি হয়নি, তাহলে আমরা কীভাবে আশা করতে পারি যে, এই মার্কেট দুই বছরের মধ্যে হবে। বহুতল ভবন করলে আমরা আর সহজে পাবো না। আমাদের জীবন চলে যাবে।
এক-একটি দোকানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কয়েকটি পরিবার। কবে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন সেই অনিশ্চিত ভবিষ্যতের অপেক্ষায় ব্যবসায়ী, কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট পরিবার।
/এমএন
Leave a reply