ইরানে হিজাব বিতর্ক; নজরদারি করতে সড়কে লাগানো হবে ক্যামেরা

|

হিজাব ইস্যুতে আবারও বিতর্ক চলছে ইরানে। রাস্তাঘাটে ক্যামেরা লাগিয়ে হিজাব পড়ার বিষয়টি নজরদারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেদেশের সরকার। যা নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। তবে সিদ্ধান্তে অনড় প্রশাসন। তারা বলছে, চলতি মাস থেকেই কার্যকর হবে এ সিদ্ধান্ত। খবর রয়টার্সের।

নারীদের পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে তুমুল আন্দোলনের মাত্র আট মাসের মাথায় ফের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ইরান সরকারের। নারীদের হিজাব পরার ওপর আবারও কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে প্রশাসন।

হিজাববিহীন নারীদের শনাক্ত করাতে এবার জনসমাগমপূর্ণ স্থানগুলোয় বসানো হচ্ছে ক্যামেরা। যেসব নারীর মাথা অনাবৃত থাকবে তাদেরকে ওই ক্যামেরার মাধ্যমে শনাক্ত করে পাঠানো হবে সতর্কবার্তা। এরপরও নিয়ম অমান্য করলে আনা হবে আইনের আওতায়। অফিস আদালতেও বহাল থাকবে একই নিয়ম।

ইরান পুলিশের কমান্ডার-ইন-চিফ আহমেদ রেজা রাদান বলেন, যারা হিজাব পড়বে না তাদের উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে চিহ্নিত করা হবে। তথ্যপ্রমাণসহ তাদেরকে পরবর্তীতে বিচারের আওতায় আনা হবে। রেস্টুরেন্ট শপিং মলসহ সব জায়গাই নজরদারীর আওতায় থাকবে। কর্মক্ষেত্রেও যদি কেউ হিজাব খুলে ফেলেন তাও গুরুত্বের সাথে পর্যবেক্ষণ করা হবে।

প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে উদ্বেগ জানাচ্ছে দেশটির মানবাধিকার সংস্থাগুলো। এর ফলে সাম্প্রতিক আন্দোলনের জেরে নৈতিকতা পুলিশ বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত কতখানি কার্যকর হবে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। অবশ্য চলতি মাস থেকেই এ আইন বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছে প্রশাসন।

গেল বছর সেপ্টেম্বরে হিজাব ইস্যুতে আটকের পর পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয় মাহশা আমিনি নামের এক নারীর। এরপর পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে ইরানজুড়ে ছড়ায় চরম বিক্ষোভ-প্রতিবাদ।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply