ওমানের মধ্যস্থতায় সৌদি-হুতি বৈঠক, শীঘ্রই যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রত্যাশা

|

আলজাজিরা থেকে সংগৃহীত ছবি।

শান্তি আলোচনার মধ্য দিয়ে, সঙ্কট সমাধানে আশার আলো দেখছে ইয়েমেন। রোববার (৯ এপ্রিল) সানায় সৌদি প্রতিনিধিদের সাথে সরাসরি বৈঠক হয় হুতি বিদ্রোহীদের। এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মধ্যস্থতাকারী ওমানের প্রতিনিধিরাও। যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে শীঘ্রই একটি চুক্তি সাক্ষরের প্রত্যাশা সব পক্ষের। এদিকে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে বইতে শুরু করেছে সৌদি-ইরান সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের সুবাতাস। খবর আলজাজিরার।

দীর্ঘ আট বছর ধরে ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের সাথে রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলছে ইরান সমর্থনপুষ্ট হুতি বিদ্রোহীদের। অবশেষে ওমানের মধ্যস্থতায় সরাসরি আলোচনার টেবিলে বসেছে দু’পক্ষ।

রোববার ইয়েমেনের রাজধানী সানায় অবস্থিত প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে অনুষ্ঠিত হয় এ বৈঠক। বৈঠকে সৌদি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির ইয়েমেনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ বিন সাঈদ আল জাবের। আর, হুতিদের প্রতিনিধিত্ব করেন গোষ্ঠীটির রাজনৈতিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মাহদি আর মাশাত। নিজের বক্তব্যে অবরোধ পুরোপুরি প্রত্যাহার, আগ্রাসন বন্ধসহ ইয়েমেনি জনগণের কথা তুলে ধরেন হুতি মুখপাত্র।

হুতি বিদ্রোহীদের প্রধান মধ্যস্থতাকারী মোহাম্মদ আব্দুল সালাম বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই এ উদ্যোগ। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া, যা ধীরে ধীরে একটি ভাল ফলাফলের দিকে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। আমাদের চাওয়া, ইয়েমেন থেকে বিদেশি বাহিনী প্রত্যাহার ও ইয়েমেন পুনর্গঠনে প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ।

আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি না এলেও ওমানের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে দু’পক্ষই। কিছুদিনের মধ্যেই যুদ্ধবিরতির প্রত্যাশা দু’পক্ষের। ইয়েমেনে শান্তি আলোচনায় অগ্রগতির পেছনে সৌদি-ইরান কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের প্রভাব হিসেবে দেখছেন অনেক বিশ্লেষক।

এ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক জোয়েল রুবিন বলেন, ইরান ও সৌদির মধ্যে দীর্ঘদিনের এ উত্তেজনা মধ্যপ্রাচ্যে আরও অনেক সংঘাতের পরোক্ষ কারণ। দু’দেশের দূরত্ব ঘুচলে ইয়েমেন, সিরিয়া, ইরাক, লেবাননের মতো দেশগুলোর সঙ্কটও দূর হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এর আগে, ২০১৪ সালে ইয়েমেনের রাজধানী সানাসহ উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয় ইরান সমর্থিত হুতিরা। তাদের দমনে পরের বছর দেশটিতে ঢোকে সৌদি সেনাবাহিনী। এরপর দুপক্ষের সংঘাতে লাখো প্রাণহানির পাশাপাশি দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ে দেশটির সোয়া দুই কোটি মানুষ।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply