ফারহানা ন্যান্সি:
ঈদযাত্রার চিত্র কিংবা দূরপাল্লায় জরুরি যোগাযোগ সব ফরম্যাটেই চোখে ভাসে দুর্ভোগ আর সময় অপচয়ের সাতকাহন। সেখানে কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্যের খবর জানিয়েছে হেলিকপ্টার সেবা। পাল্টেছে সময়, মানুষের কাছে যোগাযোগ ধরা দিচ্ছে সম্ভাবনা হয়ে। বলা হচ্ছে- বেসরকারি খাতে হেলিকপ্টার সেবার কথা।
বাংলাদেশে ১০টি এভিয়েশন প্রতিষ্ঠান যাত্রীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সময়টাকে কমিয়ে, ক্লান্তি আর কষ্ট লাঘব করে, যাত্রীদের স্বস্তির সাথে বন্ধুত্ব করিয়ে দিচ্ছে এ উড়ালপথ।
দেশের অর্থনীতিকে ত্বরান্বিত করতে, শিল্পখাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সহজে এ উড়াল পথ ব্যবহার করেন। পরিবার কিংবা প্রিয়জনদের সাথে ঈদ আনন্দের ভাগাভাগি, জীবন-মরণ সন্ধিক্ষণের রোগীকে দ্রুত চিকিৎসা ব্যবস্থা করা অথবা প্রিয়জনদের সাথে সিটি ট্যুর। এসব কিছুতেই এখন প্রাইভেট যান হিসেবে পাওয়া যায় আকাশপথে যাত্রীসেবা।
উড়াল পথের ভাড়ার হিসেব করতে গেলে আর-৬৬ এর চার সিটের ভাড়া প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৭৫ হাজার টাকা, অতিরিক্ত অপেক্ষার জন্য ঘণ্টা প্রতি গুণতে হবে ৫ হাজার। বেল-৪০৭ এর ছয় সিটের প্রতি ঘণ্টায় এক লক্ষ ১৫ হাজার এবং অতিরিক্ত সময়ের জন্য ৭ হাজার টাকা। এছাড়া বেল-৪২৯ ডাবল ইঞ্জিন সাত জনের প্রতি ঘণ্টার জন্য গুনতে হবে ২ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা।
মানুষের একান্ত প্রয়োজনে পাশে থাকতে পারাকে ভাগ্যের মনে করেন মেঘনা এভিয়েশন লিমিটেডের কারিগরি প্রধান ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ দীন ইসলাম। যেখানে সেবার সাথে জুড়ে যায় ভালবাসার আবেগটাও।
তিনি বলেন, এই আনন্দ, আবেগ কিংবা দুঃখ এই পরিস্থিতটার আমরা একটা অংশীদার। আমরাও তাদের সাথে অংশগ্রহণ করি। আমরা যখন কোনো রোগীকে নিয়ে আসি। এই লাইফটা যখন বেঁচে যায়; তখন আমাদের ভেতরে অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করে। যেন আমরাও তার বেঁচে থাকার সাথে যুক্ত আছি।
এএআর/
Leave a reply