দাতা সংস্থার চাপ কিংবা নির্বাচনে বিএনপির আসা-না আসা, কিছুতেই সংবিধান সংশোধন নয়

|

আলমগীর স্বপন:

বিএনপি নির্বাচনে আসুক বা না আসুক, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে কোনোভাবেই সংবিধান সংশোধন করবে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এক্ষেত্রে দাতা দেশ বা সংস্থার চাপও আমলে নেয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন সরকারের জ্যেষ্ঠ দুই মন্ত্রী। জাতীয় নির্বাচনের সময় আগের মতো মন্ত্রিসভার আকার ছোট করা নিয়ে অবশ্য দোলাচল আছে সরকারে। তবে এ নিয়ে এখনও কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন মন্ত্রীরা। তারা জানান, এক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী।

নির্বাচনের আর প্রায় ৮ মাস বাকি। আগে থেকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও অংশগ্রহণমূলক নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে আন্দেলনের মাঠে অবস্থান করছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। আন্দোলনে মাঝপথে স্থবিরতা আসলেও সরকার পতনের দাবিতে সামনে আরও কঠোর কর্মসূচির ইঙ্গিত দিয়েছে তারা।

তবে অনড় অবস্থানে সরকার। নীতিনির্ধারক মন্ত্রীরা বলছেন, সংবিধানের বাইরে একচুলও নড়ার সুযোগ নেই। এতে দেশি বিদেশি চাপ যতই থাক না কেন। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, কোন রাষ্ট্র কী চাইলো তার উপর সুষ্ঠু নির্বাচন নির্ভর করে না। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশে হয়েছে। এবং সেটা ভবিষ্যতেও হবে।

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সংবিধানে যেভাবে আছে, সেভাবেই নির্বাচন কমিশনের অধীনে তাদের পরিচালনায় নির্বাচন হবে। এটাই মেনে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে। তারা যদি মানতে না চায়, তার দায়দায়িত্বও বিএনপিকেই নিতে হবে।

বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। তবে মন্ত্রিসভার আকার আগের মতো ছোট করা হবে কিনা-এ নিয়ে এখনও কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন দুই জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী। কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীই এ ব্যাপারে বলতে পারবেন। উনিই পরিস্থিতি বিচার বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেবেন। আমাদের সাথে আলাপ আলোচনা করলে আমরাও পরামর্শ দেবো। তবে আমি মনে করি, সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পৃথিবীর কোথাও নিয়মের তেমন পরিবর্তন হয় না।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সংবিধানের ৫৫তম অনুচ্ছেদে পরিষ্কারভাবে বলা আছে, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশে একটি মন্ত্রিসভা থাকিবে। মন্ত্রিসভার আকার কেমন হবে তা পুরোপুরি প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত।

নির্বাচনকে ঘিরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার বাড়তে পারে-এমন আশঙ্কাকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলা আছে, ডিজিটাল উপায়ে কী কী করলে তা অপরাধ। আমরা সেটার বাইরে কখনও কিছু করবো না। এক্ষেত্রে বিধি করে এটার অপব্যবহার রোধ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

মন্ত্রীরা দাবি করেন, সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। তাই কোনো আইনের অপপ্রয়োগ বা কারসাজির কোনো সুযোগ নেই।

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply