ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব থেকে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর সুযোগ কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছে সিপিডি। শনিবার (২৯ এপ্রিল) ডিজিটাল অর্থনীতিতে কর ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সংলাপে, সংস্থার সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ডিজিটাল অর্থনীতির আওতা দিন দিন বাড়বে। তাই রাজস্ব আদায়ে মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।
মূল প্রবন্ধে বলা হয়, ফেসবুক, ইউটিউব, গুগলে বাংলাদেশ থেকে বিজ্ঞাপন যাচ্ছে। তবে কী পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হচ্ছে, তার সঠিক হিসেব নেই। ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থানে শীর্ষ দশের মধ্যে। এখান থেকে অর্থ আসার পরিমাণও জানা নেই। এসব ক্ষেত্রে এনবিআরের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। পেপ্যালের মতো গেটওয়ের সু্বিধা প্রয়োজন। সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলে, করারোপ বা প্রণোদনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া দুরুহ হয়ে পড়বে।
ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ডিজিটাল ইকনোমি থেকে রাজস্ব আদায়ে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা প্রয়োজন। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, দিন দিন ডিজিটাল অর্থনীতির আকার বাড়বে। এসব বিষয়ে এখন গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মজিদ বলেন, স্মার্ট শব্দটির ভেতরে যদি অস্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, ঠগবাজি থাকে তবে শব্দটিই পরে দুঃখ করবে। এ কথা এ জন্য বলছি যে, আমাদের মধ্যে একটি চিন্তা কাজ করে যে, মানুষ কেন কর দিচ্ছে না। যিনি কর দিচ্ছে না তাকে যদি বলি উৎস উল্লেখ করতে হবে না কিংবা কোনো ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই, তবে যিনি কর দিচ্ছেন তার মনে হবে যে, আমি কেন কর দিচ্ছি! আমাকেও তো কোনো প্রশ্ন করা হবে না। তাই আমাদের ধ্যান-ধারণাও পাল্টাতে হবে।
/এম ই
Leave a reply