রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক এস তাহের হত্যা মামলায় আসামিদের রিভিউ খারিজের রায় প্রকাশিত হয়েছে বুধবার (৩ মে)। ফলে এই মামলায় শিক্ষক মহিউদ্দিন ও কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীরের ফাঁসি কার্যকরে আর কোনো আইনি বাধা থাকলো না। রিভিউ খারিজের রায় প্রকাশে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে অধ্যাপক এস তাহেরের মেয়ে আইনজীবী শেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ বলেছেন, দীর্ঘ ১৭ বছর অপেক্ষার পর বিচার পেলাম।
বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৮ সদস্যের আপিল বেঞ্চ স্বাক্ষর করার পর ২১ পাতার পূর্ণাঙ্গ এই রায় প্রকাশিত হয়। এর আগে গত ২ মার্চ অধ্যাপক তাহের হত্যার দুই আসামি শিক্ষক মহিউদ্দিন ও কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীরের রিভিউ খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৮ সদস্যের বেঞ্চ।
রিভিউ খারিজের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন অধ্যাপক এস তাহেরের মেয়ে আইনজীবী শেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ। তিনি বলেন, প্রফেসর এস তাহের আহমেদ আমার বাবা। তার নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার আমরা পেয়েছি। এবং তার শেষ ধাপ হিসেবে রিভিউ খারিজের যে রায় আমরা পেলাম, তাতে একটু সূর্যের আলো দেখতে পাচ্ছি। আমার মা যে দীর্ঘ সংগ্রাম করেছে, আমাদের পরিবার যে দীর্ঘ প্রতীক্ষায় ছিল- একটু আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। আমরা আশা করি, রায়টি অতি দ্রুত বাস্তবায়িত হবে। ফাঁসি কার্যকর হবে এবং আমরা শান্তির নিঃশ্বাস নিতে পারবো।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাবির কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ। পদোন্নতি সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হন তিনি। পরে ৩ ফেব্রুয়ারি নিহত অধ্যাপক তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে একটি হত্যা মামলা করে। এ মামলায় ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছিল পুলিশ।
এই হত্যা মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত ৪ জনকে ফাঁসির আদেশ ও ২ জনকে খালাস দেন। এরপর দীর্ঘ আইনী লড়াইয়ের পর আপিল ও আসামি পক্ষের রিভিউ শেষে আজ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।
/এম ই
Leave a reply