আফগানিস্তানে নারী শিক্ষার্থীদের মাঝে জনপ্রিয় হচ্ছে অনলাইন ভিত্তিক স্কুল ও ট্রেইনিং সেন্টার। তালেবান সরকারের কঠোর বিধিনিষেধের মাঝেও বিকল্প উপায়ে অনেকে লেখাপড়ায় ফিরছেন। নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটিতে বর্তমানে মেয়েদের শুধু প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।
মেয়েদের শিক্ষাগ্রহণের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে তালেবান সরকার। দেশটির নারী শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ সময় তাই এখন কাটছে বাড়িতে। তবে এগিয়ে চলার অদম্য ইচ্ছায় অনেকেই বেছে নিচ্ছেন অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়া বন্ধ; তাই অনলাইনে ইংলিশ কোর্স শুরু করেছেন রাজধানী কাবুলের সোফিয়া। উদ্দেশ্য অনলাইনের মাধ্যমে হলেও যেনো থাকতে পারেন পড়াশোনার মাঝে।
সোফিয়া বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা একটা বিশাল সুযোগ আমার জন্য। বেশ কিছুদিন ধরেই আমি অনলাইনে ক্লাস করছি। বিশ্বাস করি নিষেধাজ্ঞা সবসময় থাকবে না। তখন আমি আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারব।
আফগানিস্তানে এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইনভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম। ইংরেজি শিক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের কারিগরি প্রশিক্ষণও দিচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। তাই প্রতিদিনই বাড়ছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। দু’বছরের ব্যবধানে এসব একাডেমিতে ছাত্রী বেড়েছে দশ গুণ।
রুমি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা আনিতা শেরজাদ বলেন, আমরা চেয়েছি মেয়েদের মনোবল যেনো ভেঙে না যায়। যেহেতু হাইস্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েরা যেতে পারছে না অনলাইনের মাধ্যমে হলেও তারা যেনো পড়াশোনার মাঝে থাকে। অনেক শিক্ষার্থীই এখন আমাদের সাথে যোগ দিচ্ছে।
অনলাইন কোর্সে আগ্রহ বাড়লেও প্রয়োজনীয় উপকরণ আর ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় বঞ্চিত হচ্ছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেয়েরা।
পোশাক বিধি না মানার অভিযোগে আফগানিস্তানে দু’বছর আগেই বন্ধ করে দেয়া হয় মেয়েদের মাধ্যমিকে স্কুলে যাওয়া। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের উপরও জারি করা হয় নিষেধাজ্ঞা। এমন পরিস্থিতিতে লাখো শিক্ষার্থীর মাঝে নতুন করে আশার আলো জাগিয়েছে এসব অনলাইন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এটিএম/
Leave a reply