জাপোরিঝিয়ায় আরও জোরদার হামলা, পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঘিরে আতঙ্ক

|

জাপোরিঝিয়ার আবাসিক এলাকায় হামলা। ছবি: সংগৃহীত।

মস্কো নিয়ন্ত্রিত জাপোরিঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঘিরে বেড়েই চলেছে নাশকতার শঙ্কা। রোববার (৭ মে) নিউক্লিয়ার প্ল্যান্টের আশপাশে শোনা যায় গোলাগুলির আওয়াজ। আগ্রাসনের অভিযোগ তুলে একে অপরের দিকে আঙ্গুল তুলছে রাশিয়া-ইউক্রেন। রুশ প্রশাসনের নির্দেশে অঞ্চলটি থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে এখনও, আর এতেই বাড়ছে উদ্বেগ। খবর সিএনএন এর।

জাপোরিঝিয়া পরমাণু কেন্দ্র ঘিরে সৃষ্ট আতঙ্কে এরই মধ্যে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বেশ কিছু স্থানীয় বাসিন্দাদের। এর পরই এলাকা ছেড়ে সরে পড়ার হিড়িক লাগে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে সারি সারি গাড়ির লাইনের একটি ফুটেজ। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর দাবি, জাপোরিঝিয়া থেকে হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে এসব গাড়িতে। অঞ্চলটির মহাসড়কে তৈরি হয়েছে তীব্র যানজট। চেকপয়েন্টে ৫ ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে অনেককেই।

জাপোরিঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছের শহর এনারহোদারসহ মোট ১৮টি বসতি থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে রুশ প্রশাসন। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে, প্ল্যান্টের কাছাকাছি বেসামরিক এলাকাগুলোতে হামলা বাড়িয়েছে কিয়েভ। আর এই শহরেই পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র থাকায় তৈরি হচ্ছে নতুন শঙ্কা।


যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।

কিয়েভের দাবি, বাসিন্দাদের সরিয়ে পরমাণু বিপর্যযের পটভূমি তৈরি করছে মস্কো। সেই সাথে, বাসিন্দাদের মাঝে যারা রুশ নাগরিকত্ব গ্রহণ করছে, কেবল তাদেরই নেয়া হচ্ছে আজভ সাগর সংলগ্ন বেরদিয়ানস্ক ও প্রাইমোরস্কে।

গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পরই জাপোরিঝিয়ার নিয়ন্ত্রণ নেয় রুশ বাহিনী। নিয়মিত বিরতিতেই হামলা হয়েছে অঞ্চলটিতে। যার জন্য একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে রাশিয়া-ইউক্রেন। দু’দিন আগেই জাপোরিঝিয়ার পরিস্থিতি চরম বিপজ্জনক বলে শঙ্কা জানান, আইএইএ প্রধান রাফায়েল গ্রসি।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply