কম্বোডিয়ার উদাহরণ দেখে পদত্যাগ করা উচিত সালাউদ্দিনের?

|

বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন (ফাইল ছবি)।

দল হেরে গেছে মিয়ানমারের কাছে, তাই পদত্যাগ করেছেন কম্বোডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি সাও সোখা। অথচ অসংখ্য পরাজয় আর ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়েও পদত্যাগের সাহসিকতা দেখাতে পারেননি বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন। ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের দাবি, কম্বোডিয়া সভাপতির দৃষ্টান্ত অনুসরণ করা উচিত সালাহউদ্দিনের। এদিকে, ফিফার আইন বিরুদ্ধ মন্তব্য করে বিপাকে বাফুফে সভাপতি। সর্বোচ্চ সংস্থা কি সিদ্ধান্ত নেয়- সেদিকে তাকিয়ে এখন সংশ্লিষ্টরা।

আগামী জুনে ফিফা উইন্ডোতে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে একটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। বাফুফে থেকে এমন ঘোষণা আসার দিনই পদত্যাগ করেছেন দেশটির ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি সাও সোখা। কারণটা খুবই সাধারণ। আসিয়ান অঞ্চলের লড়াইয়ে কম্বোডিয়া হেরে গেছে মিয়ানমারের কাছে। যে ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে তাৎক্ষণিক পদত্যাগের ঘোষণা দেন সাও সোখা।

কিন্তু, এ সংস্কৃতির চর্চা নেই শুধু বাংলাদেশের ফুটবলে। দুর্বল ভুটানের কাছে হেরে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে ২ বছরের নির্বাসন, ধারাবাহিক ব্যর্থতায় র‍্যাংকিংয়ের তলানিতে অবস্থান, অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে ফিফার নিষেধাজ্ঞা, বেফাঁস মন্তব্য। এসবের কোনোটিই যেন যথেষ্ট নয় বাফুফের শীর্ষ কর্তাদের পদত্যাগের জন্য।

এ প্রসঙ্গে সাবেক ফুটবলার আব্দুল গাফফার বলেন, এমন বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। যেভাবে বাইরের দেশে ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করে, আমাদেরও উচিত এমন করা। আমার মনে হয় ওনারা নির্লজ্জভাবে পদ নিয়ে বসে আছেন। সমাজের অন্যান্য লোকেদের সাথে যদি মিশতেন তাহলে তারা ব্যাপারটা নিশ্চয়ই উপলব্ধি করতেন ও পদত্যাগ করতেন।

চার মেয়াদে বাফুফে সভাপতির দায়িত্বে আছেন কাজী সালাহউদ্দিন। অথচ তৃতীয় মেয়াদে সভাপতি নির্বাচন করার আগে অঙ্গীকার করেছিলেন, সেটিই হবে তার শেষ নির্বাচন। কিন্তু সে অঙ্গীকার তো রাখেননি, ব্যর্থতার দায়ও কখনই নিজের কাঁধে নেননি তিনি। এবার বেফাঁস সব মন্তব্যে সবমহল থেকেই আছেন চাপে। তারপরও গদি ছাড়ার মতো সাহসিকতা দেখাতে পারেননি সালাহউদ্দিন।

সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক এমএম কায়সার এ প্রসঙ্গে বলেন, ফুটবল ফেডারেশনের প্রশাসনিক দায়িত্বরত কেউ কখনও কারো বিরুদ্ধে শ্রেণি বিদ্বীষ, বর্ণ বৈষম্য বা বর্ণ বৈষম্যের মধ্যে পড়ে এমন কোনো মন্তব্য বা বক্তব্য দিতে পারবেন না। আর, কাজী সালাউদ্দিন ফুটবল ফেডারেশনের সর্বোচ্চ ব্যক্তি হিসেবে যা বলেছেন তাতে এটা স্পষ্ট যে তিনি ফিফার কোড অব এথিকসের ওই ক্লজটি ভেঙেছেন।

প্রসঙ্গত, পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান, সংগঠক, ক্রীড়া সাংবাদিক এমনকি বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফাকেও ছেড়ে কথা বলেননি কাজী সালাহউদ্দিন। বেফাঁস মন্তব্যে ক্ষুব্ধ করেছেন বিসিবি সভাপতি ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কেও।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply