নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিয়ে বিদেশিদের পরামর্শের দরকার নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

|

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

সব দল না চাইলে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়। এমনটি বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিয়ে বিদেশিদের পরামর্শের দরকার নেই। সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

১২ ও ১৩ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান ফাউন্ডেশন যৌথভাবে আয়োজন করছে এ কনফারেন্স। ষষ্ঠবারের মতো সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে। ১২ মে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১০ মে) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেন, আগামী ১২-১৩ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইন্ডিয়ান ওশেন কনফারেন্স। এ সম্মেলন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে যোগ দেবেন মরিশাসের প্রেসিডেন্ট, মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ৩৮ দেশের প্রতিনিধি। তবে কৌশলগত কারণে ইন্ডিয়ান ওশেন কনফারেন্সে মিয়ানমারকে আমন্ত্রণ জানায়নি বাংলাদেশ।

ইন্ডিয়ান ফাউন্ডেশন ২০১৬ সাল থেকে বিভিন্ন দেশে সেই দেশের সরকারের সঙ্গে যৌথ আয়োজনে ‘ইন্ডিয়ান ওশেন কনফারেন্স’ নামক এ সম্মেলন নিয়মিত আয়োজন করে আসছে। সম্মেলনটি মূলত ভারত মহাসাগরের উপকূলবর্তী দেশগুলোকে নিয়ে আয়োজন করা হলেও এতে পরিবর্তিত বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকে। অনুষ্ঠিতব্য এ সম্মেলনে একাধিক রাষ্ট্রপ্রধানসহ বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বা মন্ত্রী ও বিভিন্ন সেক্টরের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য প্যানেলিস্ট, শিক্ষাবিদ ও গবেষকরা অংশগ্রহণ করবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, মরিশাসের রাষ্ট্রপতি ১১ থেকে ১৩ মে পর্যন্ত থাকবেন। এটাই মরিশাসের রাষ্ট্রপতির প্রথম সফর। মিয়ানমারকে দাওয়াত দেয়া হয়নি। কারণ তাদের সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। তবে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হতে পারে। রোহিঙ্গাদের ফেরাতে দ্বিপাক্ষিক-ত্রিপাক্ষিক নানা আলোচনা চলছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি অনেক বেশি, এটা গর্বের বিষয়। সরকার স্বচ্ছ ও স্বাধীন সুন্দর নির্বাচন করতে চায়। তবে সরকার চাইলেই হবে না। এখানে সব রাজনৈতিক দলের অংশীদারিত্ব দরকার। কোথাও তা নিয়ে বলাবলি করে কোনো লাভ হবে না। এক সময় দুষ্টু কিছু লোক নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল। তবে তা এখন নেই।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশন চাইলেও স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গ্যারান্টি হয়তো দেয়া সম্ভব হবে না। স্বচ্ছ ও সুন্দর নির্বাচনের জন্য সরকারি-বেসরকারি সকল দলের প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে। দলকেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে যে, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করবো, সহিংসতামুক্ত নির্বাচন করবো।

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply