যেনো এলেন, দেখলেন আর জয় করলেন। মাত্র ৫ বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার, আর তাতেই জয় করে নিয়েছেন থাইল্যান্ডের সাধারণ মানুষের মন। রোববারের নির্বাচনে পিতা লিম-জারোয়েন-রাত (৪২) এর দল মুভ ফরওয়ার্ড পার্টি পেয়েছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা। সবকিছু ঠিক থাকলে এই রাজনীতিবিদই হতে যাচ্ছেন থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্লেষকরা বলছেন, দলটির সামরিক সরকার বিরোধী মনোভাবই এই সাফল্যের নেপথ্য কারণ। খবর আল জাজিরার।
বলা হচ্ছে, থাই জনগণের দীর্ঘদিনের চাপা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখা গেছে ভোটের ফলাফলে। পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখিয়ে দ্রুতই মানুষের মন জয় করে নিয়েছে লিম-জারোয়েন-রাতের দল মুভ ফরওয়ার্ড পার্টি। তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল দেশটির রাজনীতিতে সামরিক প্রভাব কমানো ও রাজতন্ত্র সম্পর্কিত বিতর্কিত আইন সংশোধনের আশ্বাস।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক থিতিনান পংশুধিরাকের মতে, থাইল্যান্ডের যে পরিবর্তন প্রয়োজন তা সামরিক বাহিনী ও রাজতন্ত্র বদলের মাধ্যমে সম্ভব। সেটাই মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি তুলে ধরেছে আর জনতা পছন্দ করেছে। পুইয়ে থাই পুরনো স্লোগান, পুরোনো ধারণা নিয়েই এগিয়েছে।
যদিও, কে হবেন প্রধানমন্ত্রী তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েক সপ্তাহ। তবে ধারণা করা হচ্ছে সরকার প্রধানের দায়িত্ব লিম-জারোয়েন-রাতই পাচ্ছেন। থাই পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ১৪৭ আসন নিশ্চিত করা এমএফপি এরইমধ্যে শুরু করেছে জোট সরকার গঠনের তোড়জোর।
যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।
অবশ্য এই রাজনীতিবিদের ক্যারিয়ার শুরু হয় ফিউচার ফরওয়ার্ড পার্টিতে। ২০১৮ সালে, সামরিক সরকারের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত এই দলে যোগ দেয়ার এক বছরের মধ্যেই নির্বাচিত হন সংসদের নিম্নকক্ষের সদস্য হিসেবে। সে সময়, সংসদে সরকারের তীব্র সমালোচনা করে দেশটিতে উদীয়মান তারকা হিসেবেও ব্যাপক জনপ্রিতা পান তিনি। নানা বিতর্কের পর দলটি ভেঙে গেলে আবির্ভাব ঘটে মুভ ফরওয়ার্ড পার্টির, যার নেতা নির্বাচিত হন এই ধনকুবের।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সামরিক উত্থান যে দেশে নিয়মিত ঘটনা, সেখানে এত অল্প সময়ে মুভ ফরওয়ার্ড পার্টির এই বিস্ময়কর উত্থান বিশেষ কিছু অর্থ বহন করছে। আর তাদের এই সাফল্যে বড় অবদান তরুণ ভোটারদের। এছাড়া, দলটির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রার্থীও তরুণ।
এসজেড/
Leave a reply