বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মরদেহ দেশে এসে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার (১৬ মে) সকালে ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইটে ৭টা ৫০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে তার মরদেহবাহী বিমান। বিমানবন্দরে এই কিংবদন্তি অভিনেতার মরদেহের জন্য অপেক্ষারত চিত্রনায়ক জায়েদ খান গণমাধ্যমের কাছে বলেছেন, ফারুক ভাই নিজেই একটা ইনস্টিটিউশন, একটা এফডিসি।
জায়েদ খান বলেন, ফারুক ভাইয়ের এমপি নমিনেশনের টাকা এফডিসিতে এসে আমার হাতেই দিয়েছেন। আমরা ফরম কিনলাম। ধানমন্ডিতে বসে নিজের হাতে ফরম পূরণ করলাম। সেই ফরম জমা দিয়েছি। এরপর তিনি এমপি হয়েছেন মাশাল্লাহ। আমরা তার অনেক পথচলার সঙ্গী; সন্তানের মতো, ভাইয়ের মতো। এমপির যে অনেক কাজ, সেসব তিনি সম্পন্ন করে যেতে পারলেন না। আমার ব্যক্তিগত জায়গা থেকে ফারুক ভাইয়ের জন্য যতটুকু করা দরকার আমি করবো।
চিত্রনায়ক ফারুকের নামে এফডিসির কোনো স্থাপনার নামকরণ যেন করা হয়, সে ব্যাপারে সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন জায়েদ খান। তিনি বলেন, চিত্রনায়ক ফারুক বীর মুক্তিযোদ্ধা, জাতির সূর্যসন্তান। এফডিসির নানা ক্রান্তিলগ্নে উনি প্রতিবাদী হয়ে দাঁড়িয়েছেন। সিনেমার অনেক মানুষই কিন্তু প্রতিবাদী না, নমনীয়। উনিই ছিলেন নীতিবান, যেদিকে থাকেন সেদিকেই। নীতি বিবর্জিত কোনো কাজ করেন না।
এফডিসিতে দীর্ঘদিন চিত্রনায়ক ফারুকের না যাওয়া প্রসঙ্গে জায়েদ খান বলেন, হয়তো তার কোনো অভিমান ছিল। আমাকে উনি অনেক কথা বলতেন, আবার অনেক কিছুই হয়তো বলতেন না। সবাই তাকে সেই সম্মান, ভালোবাসা দিতে পারতো না। আমরা সেই ভালোবাসা দিতে পেরেছি। আমরা একটি পরিবার গঠন করলাম। উনি সেই পরিবারের প্রধান হলেন। যৌথ ছবির বিরুদ্ধে আন্দোলন করলাম। তিনি কিডনি রোগী হয়ে এফডিসি থেকে সেন্সর বোর্ড পর্যন্ত হেঁটে আমাদের সাথে আন্দোলন করলেন।
জায়েদ খান আরও বলেন, ফারুক ভাই সারাজীবন বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু করে গেছেন। এটা উনার আরেকটি গুণ। ফারুক ভাইয়ের মতো মানুষের কাছ থেকে অভিনয়য়, রাজনীতি- অনেক কিছুই শিখতে পেরেছি। আমি ভাগ্যবান যে, উনার এত কাছে যেতে পেরেছি।
আরও পড়ুন: সহশিল্পীদের স্মৃতিতে যেমন ছিলেন ‘নায়ক ফারুক’ (ভিডিও)
/এম ই
Leave a reply