আগামী বাজেটে ঋণ পরিশোধের দায় ছাড়াচ্ছে এক লাখ কোটি টাকা

|

রিমন রহমান:

আগামী বাজেটে ঋণ পরিশোধেই সরকারের ব্যয় হবে এক লাখ কোটি টাকার বেশি। চলতি অর্থবছরের চেয়ে যা ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি। আর ভর্তুকি প্রণোদনা ও নগদ ঋণ খাতে ২০২৩-২৪ বাজেটে বরাদ্ধ বাড়বে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ভর্তুকি খাতে ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। এক্ষেত্রে খাতভিত্তিক পর্যালোচনাও জরুরি। আর পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান মনে করছেন, কৃষি ভর্তুকি চলমান রাখার বিকল্প নেই। অন্য ক্ষেত্রে যাচাইবাছাই করা প্রয়োজন।

এর আগে, বৈশ্বিক টানাপোড়েনে আর্থিক খাতে সংকট তৈরি হলে ঋণের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দারস্থ হয় সরকার। সুনির্দিষ্ট শর্তে গেলো ফেব্রুয়ারিতে পাওয়া গেছে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের প্রথম কিস্তি।


যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।

শুধু আইএমএফই নয়, অন্যান্য দেশি-বিদেশি উৎস থেকেও বাড়ছে সরকারের ঋণ। আর স্বাভাবিকভাবেই ঋণের অর্থ পরিশোধেও বাড়ছে ব্যয়। এ অবস্থায় প্রশ্ন হচ্ছে, ঋণের অর্থের সঠিক ব্যবহার কতোটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন?

অর্থনীতি বিশ্লেষক মুস্তফা কে মুজেরি বলেন, ঋণ দিয়ে যে জিনিসটা করা হচ্ছে, এর সুফল পাওয়া না গেলে বোঝার আকারটা বৃদ্ধি পাবে। ঋণগ্রহণ করে সতর্কভাবে অর্থটা ব্যবহার করতে হবে আমাদের। যাতে ঋণ পরিশোধের ক্ষমতাটাও আমাদের বৃদ্ধি পায়।

তৈরি পোশাক রফতানিতে নানা ক্ষেত্রে প্রণোদনা দিয়ে আসছে সরকার। পাশাপাশি কৃষিসহ কয়েকটি খাতে দেয়া হচ্ছে ভর্তুকিও। আগামী বাজেটে এই দুই খাতেই সরকারের ব্যয় বাড়বে। ভর্তুকি প্রণোদনা ও নগদ ঋণে চলতি অর্থবছরের চেয়ে ব্যয় বাড়বে অন্তত ৩০ হাজার কোটি টাকা। বলা হচ্ছে, সার্বিক ভর্তুকি ব্যবস্থাপনার পর্যালোচনা দরকার।

মুস্তফা কে মুজেরি বলেন, আমাদের ভর্তুকি ব্যবস্থাপনাটাকে সামগ্রিকভাবে পর্যালোচনা করা উচিত। কী উদ্দেশ্যে কোন ভর্তুকিটা আমরা দিয়েছি এবং সে উদ্দেশ্য কতটা সফল হয়েছে; সেটার বিচার বিবেচনা করে এই ভর্তুকি কতদিন চালানো হবে কিংবা এটা চালিয়ে নেয়ার প্রয়োজন আছে কি না তা পর্যালোচনা করা উচিত। যেক্ষেত্রেই ভর্তুকি দেয়া হোক, সেটা ক্ষণস্থায়ী হওয়া দরকার।

তবে, সরাসরি সাধারণ মানুষের জন্য সহায়ক হয়, এমন খাতে সরকার ভর্তুকি চালিয়ে যাবে। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, খাদ্য-কৃষিতে তো ভর্তুকি দিতেই হবে। আর কিছু আছে প্রণোদনা। তা তো রফতানিতে দেয়া আছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসা। এক লাফে তো বের হওয়া যাবে না।

উল্লেখ্য, আগামী অর্থবছরের বাজেটে বেতন-ভাতা বাবদ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ৭৭ হাজার কোটি টাকা।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply