যারা সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে তাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। তিনি বলেন, কেবল যুক্তরাষ্ট্র নয়, বাংলাদেশের সব মানুষের চাওয়াই গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। আর এটা নিয়ে কোনো পক্ষের দ্বিমতও নেই। তবে বাড়তি নিরাপত্তা বা এসকর্ট প্রত্যাহার নিয়ে মন্তব্য করতে অপারগতা জানান তিনি। আর, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র একসাথে কাজ করলে সব সমস্যারই সমাধান সম্ভব বলে মনে করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সূচনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে। সময়ের পরিক্রমায় বেড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য-বিনিয়োগ-ঘনিষ্ঠতা আর মানুষে মানুষে যোগাযোগ। পঞ্চাশ বছরের সম্পর্ক নিয়ে চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন ছিল মার্কিন দূতাবাসে।
চিত্র প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ডক্টর শাম্মী আহমেদ। বক্তৃতায় ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবারও ফেরত চান বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনীদের।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, এটা খুবই দুঃখের যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরী এখনও যুক্তরাষ্ট্রের মতো বন্ধুপ্রতীম দেশে বসবাস করছে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতও সম্পর্ক আরও জোরদারের কথা বলেন। প্রদর্শনী ঘুরে দেখার পর গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে আসে বাড়তি নিরাপত্তা বা এসকর্ট প্রত্যাহার প্রসঙ্গ।
নতুন ভিসা নীতি ঘোষণার পর আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জাতীয় পার্টি প্রধান তিন দলের নেতাদের সাথে বৈঠক করেন রাষ্ট্রদূত। জানান, সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে সবপক্ষই একমত।
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, কেবল যুক্তরাষ্ট্র নয়, বাংলাদেশের সব মানুষের চাওয়াই গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। আর এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও অঙ্গীকার।
নতুন ভিসা নীতি সব বাংলাদেশির জন্যই প্রযোজ্য উল্লেখ করে পিটার হাস বলেন, এর প্রয়োগ নির্ভর করবে নির্বাচন নিয়ে ব্যক্তির আচরণের ওপর। পিটার হাস আরও বলেন,
চ্যালেঞ্জ নয়, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র আগামী দিনের সম্পর্কে সম্ভাবনার দিকে মনোযোগ দেয়ার তাগিদ দেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
/এসএইচ
Leave a reply