ইউএফও বা ‘আন আইডেন্টিফায়েড অবজেক্ট’ নিয়ে প্রথমবার উন্মুক্ত সংলাপের আয়োজন করেছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। গত এক বছরে এমন ৮০০ ঘটনা বিচার-বিশ্লেষণ করেছেন তারা। বুধবার (৩১ মে) সেগুলো নিয়ে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা খোলাখুলি কথা বলেন। তারা জানান, এলিয়েন বা ভীনগ্রহের কোনো বুদ্ধিমান প্রাণীর অস্তিত্ব এখনও পাওয়া যায়নি। তবে ভিন্ন গ্রহবাসীদের থাকার সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। আর এ বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রয়োজন উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন গবেষণা সরঞ্জাম। খবর রয়টার্সের।
ইউএফও নিয়ে মানুষের আগ্রহ-বিতর্ক আর জল্পনা-কল্পনা বহুদিনের। এনিয়ে একাধিক ছবি বা ভিডিও ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ইন্টারনেটে। বছরের পর বছর ধরে এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলে আসছে। তবে এবারই প্রথম নাসার পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করা হলো।
গত বছর এনিয়ে বিশেষ প্যানেল গঠন করে নাসা। যারা ইউএফও এবং এলিয়েন নিয়ে সরকারি, বেসরকারি ও বাণিজ্যিক বিভিন্ন সংস্থা থেকে পাওয়া নথিপত্র যাচাই বাছাই করেন। ১৬ সদস্যের এই প্যানেল বুধবার আসে সর্বসম্মুখে। এ সময় নিজের বক্তব্যে নাসার গবেষক ডেভিড স্পেরজেল বলেন, আমরা যেসব তথ্য নিয়ে কাজ করেছি, সেগুলো প্রাথমিক ধারণার ভিত্তিতে তৈরি। তাতে এমন কোনো ইঙ্গিত আমরা পাইনি, যাতে স্পষ্ট হয় সেগুলোর সাথে ভিনগ্রহের প্রাণীদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। তবে এখনই হাল ছাড়ছি না আমরা। কারণ, হাতে থাকা নথিপত্র বেশ অস্পষ্ট। সবচেয়ে বড় বাধা হলো, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা। তাই, আরও সময় প্রয়োজন।
নাসা জানায়, ইউএফও সংক্রান্ত প্রায় ৮০০ ঘটনা নিয়ে গবেষণা করা হয়। অধিবেশনে প্রশ্ন করার সুযোগ পান সাধারণ মানুষও। গবেষকদের অভিমত, ইউএফও ভিনজগতের কোনো যান নয়। বেলুন বা রকেটকেও বিভিন্ন সময় ইউএফও ভেবেছেন অনেকে। বাদ যায়নি বাণিজ্যিক বা গোয়েন্দা বিমানও।
যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।
ডেভিড স্পেরজেল জানান, যেসব তথ্য-উপাত্ত আমরা পেয়েছি তাতে একটা বিষয় স্পষ্ট তা হলো, এসব ঘটনার সাথে বৈজ্ঞানিক সংশ্লিষ্টতা খুবই কম। যেমন একটা ঘটনায় বলা হয় যে, দুটো মার্কিন সামরিক বিমান চলার সময় সেখানে ইউএফও শনাক্ত করা হয়েছে। কিন্তু পরে গবেষণায় আমরা পাই যে, সেগুলো বেলুন ছিল।
নাসা বলছে, তাদের কাছে প্রতি মাসে ইউএফও সংক্রান্ত ৫০ থেকে ১০০টি নতুন রিপোর্ট আসে। যার মাঝে, অন্তত ৫ শতাংশ ঘটনা রয়েছে, যেগুলো সম্পর্কে কোনো ব্যাখ্যা খুঁজে পাননি নাসার গবেষকরা। তবে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে আসার আগে বিষয়টি নিয়ে আরও গবেষণা করতে হবে।
এসজেড/
Leave a reply