মেটা’র সাথে সম্মুখ প্রতিযোগিতায় নামলো অ্যাপল। সোমবার (৬ জুন) যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠানটির অ্যাপ ডেভেলপারদের বার্ষিক সম্মেলনে উন্মোচিত হয় বহুল আকাঙ্ক্ষিত মিক্সড রিয়েলিটি হেডসেট।
অ্যাপল সিইও টিম কুক জানান, এর নাম দেয়া হয়েছে ‘ভিশন প্রো’। বলেন, আইফোনের পর এই পণ্যের ওপরই সবচেয়ে বড় বাজি ধরেছে অ্যাপল। স্কি করার সময় ব্যবহৃত গগলসের মতো দেখতে এই হেডসেট। যার দাম ৩ হাজার ৪৯৯ ডলার থেকে শুরু। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা তিন লাখ ৭৬ হাজার টাকার বেশি।
হাই-রেজোলিউশন ওএলইডি ডিসপ্লে রয়েছে এতে। এখনকার বেশিরভাগ হেডসেটের তুলনায় এর রেজোলিউশন অনেকটাই ভালো। ডুয়াল-ডিসপ্লে সিস্টেমের মাধ্যমে একেবারে যেন সত্যিকারের মিক্সড রিয়েলিটির জগতে প্রবেশ করে যাবেন। এই ভিশন প্রো হেডসেটে একটি ডিজিটাল ক্রাউন-ও রয়েছে, ঠিক অ্যাপল ওয়াচের মতো। সেটি ব্যাটারি দ্বারা চালিত, দু’ঘণ্টা একটানা চলতে পারে।
শুধু তাই নয়, ভিশন প্রো হেডসেটে রয়েছে থ্রিডি ক্যামেরা। রয়েছে আইসাইট ফিচার। অ্যাপেলের এম-২ চিপসেট বসানো রয়েছে ভিশন প্রো হেডসেটে। এ ছাড়াও, নতুন আর ওয়ান চিপও রয়েছে রিয়েল টাইম সেন্সর প্রসেসিংস-এর জন্য। অ্যাপেলের নয়া অপারেটিং সিস্টেম ভিশন ওএস এর দ্বারাই পরিচালিত হবে।
বর্তমানে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির বাজারে দাপুটে অবস্থান ফেসবুকের উদ্ভাবক মেটাভার্সের। সেটির তুলনায় অ্যাপলের হেডসেটের দাম তিনগুণ বেশি। বলা হচ্ছে, চোখ, হাত, কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে গুগলের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবেন ব্যবহারকারী। শুধু তাই নয় খুব সহজেই এআর থেকে ভিআর জগতে যাতায়াত করা যাবে।
অবশ্য, প্রথমদিনই ‘ভিশন প্রো’র উচ্চমূল্য হতাশ করেছে ক্রেতাদের। ধারণা করা হচ্ছে, বছরে দেড়লাখ সেট বিক্রি হতে পারে। ২০২৪-এর শুরুর দিকে আমেরিকার বাজারে চলে আসবে এই নয়া হেডসেট। পরে অন্য দেশগুলোতেও পৌঁছবে।
সূত্র: টেক ক্রাঞ্চ
এটিএম/
Leave a reply