চট্টগ্রাম ব্যুরো:
পাষণ্ড এক দম্পতির নির্মম নির্যাতনের শিকার আড়াই বছর বয়সের এক শিশু! নির্যাতনের মাত্রা এতোটাই বেশি যে, প্রায় ক্ষতবিক্ষত শিশুটির ছোট্ট শরীর। চট্টগ্রামে এমন বর্বরতায় ঘটনায় হতবাক ওই দম্পতির প্রতিবেশিরা। এদিকে, নির্যাতনকারীকে পুলিশ আটক করলেও পালিয়েছে তার স্বামী। আর, আহত শিশুটি এখন কাতরাচ্ছে হাসপাতালে।
বয়স মাত্র আড়াই কি ৩ বছর। বলা যায় দুধের শিশু। মায়ের কোলে থাকার এ বয়সে দিন-দুনিয়ার আর কতোটুকুই বা বোঝে সে? কিন্তু, সামান্য কারণে অমানুষিক নির্যাতনের খড়গ নেমে আসতো ছোট্ট এ নিস্পাপ শিশুটির ওপর। যার দগদগে ক্ষতচিহ্ন এখন তার পুরো শরীর জুড়ে।
জানা গেছে, ৯৯৯ এ এক কলারের অভিযোগ পেয়ে চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ এলাকায় মহসিনের কলোনি থেকে নির্যাতনের শিকার হওয়া শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। ভর্তি করা হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে।
পুলিশ জানায়, মাস কয়েক আগে হবিগঞ্জ থেকে নিজের ভাইয়ের এই শিশুটিকে চট্টগ্রামে নিয়ে যান রুনা ও তার স্বামী নুরউদ্দিন। এরপর কারণে অকারণে শিশুটির ওপর চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন।
এদিকে, ছোট্ট শিশুর ওপর এমন অমানবিক ও অকথ্য নির্যাতনে ক্ষুব্ধ প্রতিবেশীরাও। তাদের অভিযোগ, পান থেকে চুন খসলেই শিশুটিকে মারধরের পাশাপাশি দেয়া হতো আগুনের ছ্যাঁকা। এমনকি নিজের সন্তানকে যত্ন করলেও এই শিশুটিকে প্রতিবেশিদের সামনে আছাড় দেয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে।
সিএমপি খুলশী থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা এ প্রসঙ্গে বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে আমাদের মোবাইল টিম। শিশুটি নিজের হাত দিয়ে দেখাচ্ছিলো তাকে কোথায় কোথায় মেরেছে। উদ্ধারের পর ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করানো হয়েছে তাকে। নির্যাতনের কারণে মাসনিকভাবে ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শিশুটি। আমরা শিশুটির অভভাবকদের ডেকেছি। তাদের সাথে ও ডাক্তারদের সাথে কথা বলে শিশুটি যাতে স্বাভাবিকভাবে থাকতে পারে সে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, শিশুটিকে উদ্ধারের পর তার খালা রুনাকে পুলিশ আটক করলেও, পালিয়ে যান গৃহকর্তা নুরউদ্দিন।
/এসএইচ
Leave a reply