২০২৭ সালের আগে ইংল্যান্ডের মাটিতে কোনো সিরিজ না থাকায় ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড বাংলাদেশকে টেস্ট খেলতে ডাকার পরিকল্পনা করেছে। ২০২৪ ও ২০২৫ সালের যেকোনো সময় এফটিপির বাইরের এই টেস্ট অনুষ্ঠিত হতে পারে। এমন খবর জানিয়েছে দ্য টেলিগ্রাফ।
সবশেষ ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট খেলেছিল বাংলাদেশ। মাঝে ১৩ বছর কেটে গেলেও এই সময়ের মাঝে ইংলিশদের মাটিতে বেন স্টোকসদের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলা হয়নি সাকিব আল হাসানদের। এফটিপি অনুযায়ী, আগামী ২০২৭ সালে ইংল্যান্ড সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে টাইগারদের।
যেখানে দুটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। তবে এফটিপির বাইরে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়েকে ডাকার পরিকল্পনা আঁটছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। এমসিসি ও ইসিবির চুক্তি অনুযায়ী প্রতি গ্রীষ্মে লর্ডসে দুটি করে টেস্ট আয়োজন করা যাবে।
২০২৪ ও ২০২৫ সালে ঘরের মাঠে পাঁচটি করে টেস্ট খেলবে ইংল্যান্ড। সেসময় আরও একটি করে টেস্ট খেলার সুযোগ থাকছে তাদের হাতে। দুর্বল দলগুলোর কাছে টেস্টকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতেই জিম্বাবুয়ে ও বাংলাদেশকে ডাকার কথা ভাবছে ইসিবি। ২০২৪ কিংবা ২০২৫ সালের যেকোনো একটি সময়ে বাংলাদেশকে ডাকতে পারে তারা।
এ প্রসঙ্গে ইসিবির প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গোল্ড সম্প্রতি বলেছেন, ইসিবি এই মুহূর্তে টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে ভাবছে। তারা এমন উপায় খুঁজছে, যাতে অন্যরা শুধু টেস্ট ক্রিকেট খেলতেই উৎসাহী না হয়, ক্রিকেটারদের যেন তারা ভালো পারিশ্রমিক দেন। এর ফলে ক্রিকেটাররা টেস্ট ক্রিকেট খেলতে আরও বেশি আগ্রহী হয়ে উঠবেন।
লর্ডসে টেস্ট আয়োজন করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ারও সুযোগ থাকছে ইসিবির কাছে। ইংল্যান্ডের মাটিতে খেলা হলেও বরাবরই গ্যালারিতে রাজত্ব করেন বাংলাদেশের সমর্থকরা। ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ও ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ সেটারই প্রমাণ। সবশেষ আয়ারল্যান্ড সিরিজেও গ্যালারি ভর্তি ছিল বাংলাদেশের দর্শকরা। সেটাকে কাজে লাগাতে চায় ইসিবি।
গ্রীষ্মে লর্ডসে টেস্ট আয়োজন নিয়ে এমসিসির প্রধান নির্বাহী গাই ল্যাভেন্ডার টেলিগ্রাফকে বলেছেন, আমরা ২০২৪ সালে লর্ডসে দুটি টেস্ট ম্যাচ আয়োজন করতে চাচ্ছি খুব করেই। আমরা মনে করি, লর্ডসে প্রতি গ্রীষ্মেই দুটি করে টেস্ট আয়োজনের সুবিধা আছে। লর্ডসের মতো মাঠকে টেস্ট ক্রিকেটের জন্য বেশি করে ব্যবহারের উদ্দেশ্যের পাশাপাশি আর্থিক ব্যাপারটিও এখানে জড়িত।
/আরআইএম
Leave a reply